অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নামার ঘটনায় বিধ্বস্ত গোটা এলাকা। পানীয় জল সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায় লাইন ফেটে। সেই সমস্যার পাশাপাশি নতুন করে সংকট দেখা গিয়েছে। ওই এলাকার একাধিক জায়গায় নোংরা জল জমে থাকছে। পানীয় জলের সঙ্গে সেই নোংরা জল মিশে যাচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে গত মাসে ধস নামে। গোটা এলাকার পানীয় জলের লাইন ফেটে যায়। ওই ঘটনায় ড্রেনেজ সিস্টেমও ভেঙে পড়েছে বলে খবর। আর তার জেরে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাওড়া পুরসভার সাত, আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে রয়েছে। কোথাও হাঁটুজল কোথাও আবার গোড়ালির উপরে জল রয়েছে। গত ১০ দিনের বেশি সময় ধরে ওইসব এলাকায় জল জমে আসে বলে খবর। দুর্গন্ধে ভরা ওই জলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
আজ ওই এলাকায় গিয়েছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তাঁর কাছে ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বিধায়কও অভিযোগের কথা শুনেছেন। বিধায়ক এদিন বলেন, “ভাগাড়ে বিপর্যয়ের পর নিকাশির যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা ঠিক করার মতো পরিকাঠামো হাওড়া পুরসভার নেই। কেএমডিএ এই কাজ করতে পারবে।” এদিন পুরসভার তরফ থেকে জমা জল নামানোর জন্য পাম্প চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জলের সঙ্গে ওই নোংরা জল মিশে যাচ্ছে। ফলে রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা যেতে পারে। সেই আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা রূম্পা দাস অভিযোগ করেছেন, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত নোংরা জল ঢুকে যাছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি চললেও কোনও উন্নতি হচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দা টিয়া ঘোষ জানিয়েছেন, ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না নিয়মিত। আর এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাও বোঝা যাচ্ছে না। লক্ষ্মীকান্ত ভান্ডারী নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ধস নামার আগেও বর্ষাকালে জল জমত। ভাগাড়ের ধসের পরে ১৫ দিন ধরে জল জমে আছে।
হাওড়ার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। দুর্গত পরিবারদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কথা আগেই জানিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।