• উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতাল সামলালেন জুনিয়র ডাক্তাররাই
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি:  দুর্গাপুজো শেষ। শনিবার,  লক্ষ্মীপুজোর আগের দিনও কার্যত জুনিয়র ডাক্তাররাই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সামলালেন। এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে বহু রোগী এসে ফিরে যান। কেননা তাঁরা যে ডাক্তারের কাছে অনেকদিন ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন, সেই ডাক্তারের এদিন দেখা মেলেনি। 

    অম্বিকানগরের বাসিন্দা কালাচাঁদ রায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এদিন ডাক্তার দেখাতে মেডিক্যালে এসেছিলেন। তিনি বলেন, পুজোর আগে যে ডাক্তারবাবু আমার স্ত্রীকে দেখেছিলেন, তিনি এদিন আসেননি। এদিন আসার জন্য তিনিই ডেট দিয়েছিলেন। আউটডোরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই ডাক্তারবাবু ছুটিতে রয়েছেন।  তিনি এলে আবার আসব। বিধাননগর থেকে এসেছিলেন রমেন দাস। তিনি তাঁর ছেলের পায়ের চোটের চিকিৎসা করাচ্ছেন। টিকিট কাউন্টারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের খোঁজ করে জানতে পারেন যে এদিন ওই ডাক্তার আসেননি। জুনিয়র ডাক্তার রোগী দেখছেন। তাই তিনি আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করেননি। হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। 

    কালাচাঁদ ও রমেনবাবুর মতো অনেকেই তাঁদের ডাক্তার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। মেডিসিন, অর্থোপেডিক, পেডিয়াট্রিক, সার্জারি সব বিভাগের আউটডোরেই এদিন একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। মূলত জুনিয়র ডাক্তাররাই আউটডোর সামলাচ্ছেন। সিনিয়র বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের খোঁজ করলে শুনতে হয়েছে, স্যার ছিলেন। আবার আসবেন। সুপারের অফিসেও ছিল এই লুকোচুরি খেলা। অনেক সিনিয়র বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিককে এদিনও হাসপাতালে দেখা যায়নি। তাঁর অফিসের ঢোকার দরজায় নেমপ্লেটে উল্লেখ ছিল সুপার বাইরে রয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন খোঁজ নিলে অফিসের সাধারণ কর্মীরা জানিয়েছেন, স্যার মিটিংয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায়, কার সঙ্গে মিটিং, সে প্রশ্নে তাঁরা নীরব থেকেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সব ঠিকমতো চলছে কিনা তা দেখতে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ও ডেপুটি সুপার (নন-মেডিক্যাল) হাসপাতালে ঘোরেন। যদিও তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।  

    হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত প্রত্যেক বছরই ছুটির রেশ বজায় থাকে। প্রায় সকলেরই বাড়ি কলকাতায়। পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটিয়ে লক্ষ্মীপুজোর পরই সবাই ফিরে আসেন। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকেন। রবিবার লক্ষ্ণীপুজো মিটে যাবে। সোমবার থেকেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে এই সময়ে চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)