ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বিনামূল্যে ২৫ রকম রক্তপরীক্ষা
বর্তমান | ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, ডোমকল: গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ও আধুনিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সেজন্য রানিনগর-১ ব্লকের ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট (বিপিএইচইউ) গড়ে তোলা হবে।
হাসপাতাল চত্বরে ওই দোতলা ভবনের অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিতে ২৫ রকমের বেশি রক্তপরীক্ষা বিনামূল্যেই করাতে পারবেন রোগীরা। এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবা সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান। কয়েকসপ্তাহ আগেই বিপিএইচইউ গড়ার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ প্রায় ৬০লক্ষ টাকার দরপত্র ডেকেছে। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।
রানিনগর-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসানুল হাসিন বলেন, ধীরে ধীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হচ্ছে। সেখানে একাধিক রক্ত পরীক্ষা বিনামূল্যে করা যাবে। এই গ্রামীণ হাসপাতালের উপর ইসলামপুর ছাড়াও হুড়সি, লোচনপুর, পাহাড়পুর, পমাইপুর, হেড়ামপুর, গোয়াস সহ রানিনগর-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। আশপাশের ব্লক থেকেও প্রচুর রোগী এই হাসপাতালে আসেন। বর্তমানে ডাক্তারের লিখে দেওয়া বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে রোগীদের হাসপাতালের ল্যাবের উপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু তার পরিকাঠামো তেমন উন্নত না হওয়ায় অনেকক্ষেত্রেই হাসপাতালের বাইরের বিভিন্ন প্যাথ ল্যাব থেকে তাঁদের পরীক্ষা করাতে হয়। এতে যে টাকা লাগে, তা দেওয়ার সামর্থ্য অনেকের থাকে না। আবার অনেকসময় রিপোর্ট সঠিক কিনা-তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ আশপাশের বেশিরভাগ প্যাথ ল্যাবেই দক্ষ মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই। অনেকক্ষেত্রে একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান দু’তিনটি ল্যাব সামলান। হাসপাতালের বিপিএইচইউ চালু হলে বিনামূল্যে নির্ভুল রিপোর্ট পাওয়া যাবে-বলছেন স্থানীয়রা। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, সমস্ত জেলায় হাসপাতালের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে অন্য কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিপিএইচইউ গড়ে তোলা হচ্ছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে এসমস্ত সেন্টার পরিচালিত হবে। ব্লাড ফাংশন টেস্ট, লিভার ফাংশন টেস্ট, লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিন সহ রক্তের প্রায় ২৫টির বেশি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হবে। এজন্য বিপিএইচইউতে অটো অ্যানাল্যাইজার দেওয়া হবে। একেবারে গ্রামীণ স্তরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এহেন উন্নতি হলে সাধারণ মানুষকে অনেক চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে যেতে হবে না বলে স্বাস্থ্যদপ্তর মনে করছে। এলাকার শিক্ষক শহিদুল শেখ বলেন, হাসপাতালে এধরনের ইউনিট চালু হলে এলাকার মানুষকে আর টাকা খরচ করে প্যাথ ল্যাব থেকে পরীক্ষা করাতে হবে না। এতে গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।