'বাড়িতে নগদ মেলায় বিচারপতির শাস্তি হল বদলি, এই শিক্ষকদেরও ট্রান্সফার করতে পারত'
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৫
বিচারপতির বাসভবন থেকে নগদ টাকা উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের । কিন্তু আমার মনে যেটা এসেছে, সেটা বলছি। একজন বিচারকের বাড়ি থেকে যদি কোটি-কোটি টাকা পাওয়া যায়...১৫ কোটি সম্ভবত...যেটা জানতে পেরেছি এখনও পর্যন্ত....তাঁর শাস্তি যদি শুধু ট্রান্সফার হয়, তাহলে আমার এই ২৫,০০০ ভাই-বোন…তাদেরও ট্রান্সফার করতে পারত। লেট দ্য গুড সেন্স প্রিভেলস।’
মুখ্যমন্ত্রী কারও নাম না করলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, গত মাসে এক বিচারপতির বাসভবন থেকে নগদ উদ্ধারের যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার কথাই বলেছেন মমতা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ওই বিচারপতিকে যে বদলি করা হয়েছে, সেটার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে যে ঘটনা ঘটেছে, তার কোনও সম্পর্ক নেই।
গত ১৪ মার্চ রাতে ওই বিচারপতির বাসভবন থেকে নগদ উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছিল। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না বিচারপতি। অভিযোগ ওঠে যে তাঁর বাসভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে গিয়েছিল দমকল। সেইসময় নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরে বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যে রিপোর্ট দাখিল করেন, সেই রিপোর্টের সঙ্গে ভিডিয়ো এবং ছবিও প্রকাশ করা হয়।
তারইমধ্যে ওই বিচারপতিকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যাতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শপথগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য পিটিশন দাখিল করেছেন এক আইনজীবী। তিনি দাবি করেছেন, সংশ্লিষ্ট বিচারপতির বদলির নির্দেশ এবং প্রস্তাবিত শপথগ্রহণের বিষয়টি লঙ্ঘন করছে সংবিধানকে। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নির্দেশ দিয়েছেন যে ওই বিচারপতিকে যেন কোনও বিচারবিভাগীয় কাজ করতে না দেওয়া হয়।
আর তারইমধ্যে আজ এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে সেই বিচারপতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মমতা। যে মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বজায় রেখেছে শীর্ষ আদালত। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল। আর তার জেরে চাকরিচ্যুত হয়ে গিয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী।