• ‘বুদ্ধিজীবীরা উত্তর দিন, আমাদের চাকরি কেন বাতিল’মোক্ষম প্রশ্ন তুললেন মাস্টারমশাই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৫
  • হাজার হাজার চাকরি বাতিল। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছিল তা প্রমাণিত। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে তৃণমূলের নেতাদের সীমাহীন লোভের মাশুল গুনলেন হাজার হাজার শিক্ষক। কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেটা কেন আলাদা করতে পারল না এসএসসি? কেন চাল আর কাঁকড়দের আলাদা করতে পারল না সরকার? কেন দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করল সরকার? কাদের আড়াল করার জন্য় এত পরিকল্পনা করল সরকার? অনেক অনেক প্রশ্ন উঠে গেল এবার।

    ২৫ হাজার ৭৫২জনের চাকরি বাতিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আশার আলো একটাই যে আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ মিলবে। ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা ছিলেন তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন। 

    একেবারে দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারা শিক্ষকদের। কাল থেকে কী করবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। সাধারণ একটা ধারণা থাকে যে সরকারি চাকরি এত সহজে যায় না। এমনকী পরিবারে কেউ সরকারি চাকরি করলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থের যোগানের একটা নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু চাকরি হারিয়ে এখন কার্যত কোনও রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না চাকরিহারাদের একাংশ। 

    রায় শোনার পরে চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, আমরা গভীরভাবে আশাহত ও মর্মাহত। …ভারতের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করেছে, তদন্ত করে আলাদা করেছে তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই চাকরি গেল? তাহলে তো তারা দায়ী যারা পরীক্ষাটা নিয়েছিল। ওয়েস্টবেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আমরা তো ব্যর্থ নই। আমরা তো অযোগ্য নই। যারা চাকরি নিয়েছে, যারা সিলেকশন পদ্ধতিতে ছিল তারা ব্যর্থ। তারা সঠিকভাবে নিতে পারেনি। তাদের চাকরি কেন বাতিল করা হল না? আমরা যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছি। আমাদের কেন চাকরি বাতিল হল? পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে আপনারা বলুন। যারা যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তারা এর উত্তর দিন। আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাদের মহান কমিশন থেকে যেমন নির্দেশ এসেছে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। যে নির্ণায়ক কথা বলা হয়েছিল সেই অনুসারে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। যারা বিভিন্ন পদে বসে রয়েছেন, আধিকারিকরা রয়েছেন তাঁদের যদি বলা হয় আপনারা আবার পরীক্ষা দিয়ে আপনি চাকরি করুন এটা কি সম্ভব? 

    তবে কার্যত মোক্ষম কথা তুলে দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক। যে বুদ্ধিজীবীরা বার বার সমাজকে পথ দেখায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁরা এখন কেন নীরব? তবে কি শাসক চটে যেতে পারে এই আতঙ্কে ভুগছেন বুদ্ধিজীবীরাও? 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)