• ২৬ হাজার চাকরিই বাতিল!‌ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দিলেন না নেতারা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের গোটা প্যানেল আজ, বৃহস্পতিবার বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতির পারদ উর্দ্ধমুখী। বিরোধীরা রে রে করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। কারণ সুপ্রিম কোর্ট আজ এই মামলার শুনানিতে জানিয়ে দিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। তার সঙ্গে বিচারপতিদের এই বেঞ্চ জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসি’‌র মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। এত বড় একটা ঘটনা ঘটল অথচ এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে নারাজ।

    এই রায়ের পর বিরোধীরা অনেকটা অক্সিজেন পেলেন ঠিকই, কিন্তু তার মানে রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে অন্য কোনও পরিকল্পনা করবে না এমন নয়। ইতিমধ্যেই নবান্ন সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতরকে নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মানে রাজ্য সরকারের উপর একটা চাপ তৈরি হয়েছে। আবার নয়া পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ করা হবে। তবে কী পদক্ষেপ করা হবে সেটা বৈঠকের পরই জানা যাবে। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ এই বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। সুতরাং যাঁরা চাকরি আজ হারালেন তাঁরা কোনও দিশা পাচ্ছেন না।


    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর চাকরি চলে যাতে না যায় তার জন্য বিভিন্ন সভা–সমাবেশ থেকে সোচ্চার হয়েছেন। কারও চাকরি তিনি যেতে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এতজন চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি যেতে পারে না বলে তিনি আগে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী বিরোধীদের আক্রমণ করেছিলেন, চাকরি খেতে চায় তাঁরা বলে। চাকরি দিতে পারে না। নিয়োগ করতে গেলে পিল করে দেয়। এরা বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরির বিরোধী বলে তোপ দেগে ছিলেন। সেখানে আজ চাকরি সবার চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্দিনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকবেন বলে আশা করছেন।

    যদিও কোনও পক্ষ থেকে সাড়াশব্দ মিলছে না। এই ঘটনার পর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটালের পক্ষ থেকে ফোন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। তিনি তৎক্ষণাৎ লাইনটি কেটে দেন। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে ফোন করা হয়। তিনি ফোন ধরে বলেন, ‘‌এই ইস্যুতে এখন কোনও কথা বলব না। সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই বিবৃতি দেওয়া হবে।’‌ এটুকু বলেই ফোনের লাইনটি কেটে দেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দেখার বিষয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও পদক্ষেপ করেন কিনা। তবে কারও প্রতিক্রিয়া পেলে পাঠকদের আপডেট করা হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)