দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্রায় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাাধ্য়ায় ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে, রাজ্য প্রশাসন ও এসএসসি কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রামনবমী মিটলেই এ নিয়ে আন্দোলনে নামার।
বৃহস্পতিবার এসএসসি-র সংশ্লিষ্ট মামলায় রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। চাকরি হারাতে হয় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীকে।
এর প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের যে চাকরি চলে গেল, যাঁরা ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করছেন, তাঁদের পরিবার রয়েছে। আজকে যোগ্য যাঁরা, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদেরও চাকরি চলে গেল। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির লোকেরা অযোগ্যদের - যাঁরা পয়সা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরির বলিদান দিয়ে দিলেন! এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার রাস্তায় বসে গেল, তার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর চ্যালাচামুণ্ডারা। যাঁরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে কয়েকজন অযোগ্যকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন।'
এরই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এদিন প্রশ্ন তোলেন, কেন যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা গেল না? যদি সেটা করা যেত, তাহলে তো সেই মানুষগুলির চাকরি বাঁচানো যেত।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া - 'আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিল না? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার এই পৃথকীকরণ করে দিত, তাহলে তো ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত, যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকত।'
এরপরই সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি, তাঁদের দল এভাবে যোগ্যদের হেনস্থা ও তাঁদের প্রতি অন্য়ায় বরদাস্ত করবে না। রামনবমী মিটে গেলেই এ নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামা বলে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, 'আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের দুষ্কৃতী, জোচ্চোরদের জন্য এতগুলি পরিবার রাস্তায় বসল। আমরা ছেড়ে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎখাত করব। বলে দিচ্ছি, রামনবমী পার হয়ে গেলেই ভারতীয় জনতা পার্টি পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে পথে নামবে।'