৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দিশেহারা এসএসসির চাকরিহারা প্রার্থীরা। নেতাজি ইন্ডোরে একত্রিত হয়ে একটি কর্মসূচির আয়োজন করতে চলেছেন তাঁরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে থাকার জন্যেও আহ্বান করা হয়েছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একাধারে মানসিকভাবে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার এই সঙ্কটের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
সুপ্রিম রায়ের পর সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধসিয়ে দেওয়াই বিজেপির লক্ষ্য। এর বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়াই হবে।…এই পরিবারগুলি অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘আমি ফেসবুকে ওঁর বক্তব্য দেখেছি। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা চাকরিহারা হলো। বলছেন, এর জন্য নাকি আমরা দায়ী। আপনারা যখন প্রথম কেস করলেন, তখন একবার ভাবলেন না কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য। সরকারকেও ভাবতে দিলেন না।’
অন্যদিকে এসএসসি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর পাল্টা সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘এই সব শিক্ষিক, শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে আমরা আছি। তাঁদেরকে কথা দিচ্ছি, যে কাজটা এই রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন করতে পারেনি, অর্থাৎ যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা, সেটা মানুষের আশীর্বাদে ক্ষমতায় এলে আমরা করব।’ শুভেন্দুর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য ক্যাবিনেটের যাঁরা জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর দাবিও করেন শুভেন্দু।