• পাঁচ টাকায় পেটপুরে খাবার, জেলা হাসপাতালে চালু হল মা ক্যান্টিন...
    আজকাল | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • মিল্টন সেন,হুগলি: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচশ গরীব মানুষের দুপুরে খাবারের সংস্থান হল। চুঁচুড়ায় চালু হল বহু প্রত্যাশিত মা ক্যান্টিন। বৃহস্পতিবার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ক্যান্টিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, ভাইস চেয়ারম্যান পার্থ সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সিআইসি জয়দেব অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর।

     জেলা হাসপাতালের তরফে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মন্ডল, ডেপুটি সিএমওএইচ ১ ত্রিদীপ মুস্তাফি এবং হাসপাতালের তিনজন অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। এবার থেকে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার পরিচালনায় এই ক্যান্টিনে হাসপাতালে আগত মানুষজন দুপুরের খাবার খেতে পারবেন। ক্যান্টিনে পাঁচ টাকার বিনিময়ে মিলবে ডাল ভাত তরকারি ডিম।

    গরীব মানুষের কথা ভেবে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ভবঘুরে গরীব মানুষরা যাতে দুপুরে অন্তত পেট ভরে খেতে পান। ইতিমধ্যেই জেলার অন্যান্য পুরসভায় মা ক্যান্টিন চালু হয়েছে। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভাতেও রয়েছে সুলভ ক্যান্টিন। ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু রোগীর পরিজন আসেন। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন, তাঁরা হাসপাতাল থেকে নিয়মিত খাবার পান। কিন্তু রোগীর আত্মীয় স্বজন যাঁরা হাসপাতালে আসেন তাঁদের অনেক বেশি টাকা খরচ করে হাসপাতালের বাইরে খাওয়া দাওয়া সারতে হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই সেই সংস্থান হয়ে ওঠে না।

    এই প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা বলেছেন, হাসপাতাল চত্বরে ক্যান্টিনের খুব প্রয়োজন ছিল। যাঁরা হাসপাতালে আসেন সেই সমস্ত গরীব মানুষের জন্য এই ক্যান্টিন খুবই জরুরি ছিল। চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেছেন, প্রথম দিন ৩০০ জনের খাবার তৈরি হয়েছে। এরপর চাহিদা অনুযায়ী রান্না হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পুরপরিষদ সদস্য জয়দেব অধিকারী বলেছেন, সপ্তাহে ছ' দিন মা ক্যান্টিন খোলা থাকবে। আপাতত প্রতিদিন ৫০০ লোকের খাবার টার্গেট রাখা হয়েছে। ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)