পাথরপ্রতিমায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় গ্রেফতারি! এ বার চন্দ্রকান্তের ভাই তুষার পাকড়াও
আনন্দবাজার | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার তৃতীয় ঘেরি এলাকায় বাজি বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই পরিবারের ছোট ছেলেকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম তুষার বণিক। শুক্রবার সকালে তাঁকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন বড় ভাই চন্দ্রকান্ত। ঘটনার পরে দুই ভাই-ই পলাতক ছিলেন।
গত সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার গ্রামে বণিকদের বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িতে মজুত থাকা বাজির জন্য বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় পরিবারের আট সদস্যের। মারা যান চন্দ্রকান্তের স্ত্রী, সন্তান, বাবা এবং ভাইয়ের স্ত্রী-সহ আট জন। বেঁচে যান তাঁর মা মেনকা, চন্দ্রকান্ত ও তাঁর ভাই তুষার। চন্দ্রকান্তের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। কাকদ্বীপ আদালতের বিচারক তাঁকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য দিকে, চন্দ্রকান্তের ভাই তুষারের খোঁজ চলছিল। এ বার তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, চন্দ্রকান্তদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতার’ জেরে এই ঘটনা। পাথরপ্রতিমার বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ খুলেছেন।
মমতা জানান, চন্দ্রকান্তের বাজি ব্যবসার লাইসেন্স ছিল। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে চন্দ্রকান্তের ব্যবসার লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। তার পরেও কী ভাবে ওই কারবার চলছিল, দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী গুজরাতের ডীসা শহরে বাজি ফেটে মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘গুজরাতে যে ২৫ জন মারা গিয়েছেন, সেই ঘটনায় (অভিযুক্ত) লাইসেন্স হোল্ডার নয়। অনেকে বিমা পাওয়ার জন্য ইচ্ছা করে আগুন লাগায়। খারাপ লাগছে, একটা পরিবারের প্রায় সবাই শেষ হয়ে গেল! বাজি এবং গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি থাকা উচিত? এটা থেকে শিক্ষা নেব।’’