পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটের বণিকদের পারিবারিক বাজির ব্যবসা । সরকারি রিপোর্টে প্রকাশ, লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও বেআইনি ভাবে রমরমিয়ে চলছিল তাদের বাজির কারবার। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ বাজি। গত সোমবার রাতে বণিক বাড়িতে সেই মজুত থাকা বাজি ও বাজির মশলাতেই বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্তের বাবা অরবিন্দ বণিক (৬৫), ঠাকুমা প্রভাবতী বণিক (৮০), চন্দ্রকান্তের স্ত্রী সান্ত্বনা বণিক (২৮), দুই সন্তান অর্ণব বণিক (৯) ও অস্মিতা বণিক (৮ মাস) এবং ভাই তুষারের স্ত্রী সুতপা বণিক এবং তুষারের দুই সন্তান অনুষ্কা বণিক (৬) এবং অঙ্কিত বণিকের (৬ মাস)। এই ঘটনায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয় চন্দ্রকান্ত বণিককে। এ বার জালে ভাই।
চোখের কোণে শুকিয়ে যাওয়া জল আর মুখে লাগাতার অদ্ভুত গোঁ গোঁ শব্দ। ঢোলাহাটের বাজি বিস্ফোরণের মর্মান্তিক ঘটনায় ধৃত চন্দ্রকান্ত নাকি এমনই আচরণ করছেন পুলিশি হেফাজতে। অনেকেই দাবি করছেন, চন্দ্রকান্ত বণিক ট্রমায় ভুগছেন।
সচেতনতার অভাব থেকেই পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। গ্যাসটাকে তো সামলে রাখবেন।’ ঢোলাহাট কাণ্ডে বণিক পরিবারকেই দায়ী করে তিনি বলেন, ‘নিজের বাড়িতে তো গ্যাসটাকে সামলে রাখবেন। যাঁরা রান্না করেন তারা তো জানেন। আমার খারাপ লাগছে একটি পরিবারের সকলে শেষ হয়ে গেল। বাড়িতে বাজি রাখার কী প্রয়োজন? বাজি ও গ্যাস সিলিন্ডার কি একসঙ্গে থাকে? না রাখা উচিত? এক জায়গায় দাহ্য পদার্থ রেখে দিলে প্রাণহানি হতে পারে। সকলেই সাবধান হন। মানুষের জীবন সব থেকে দামি।’