এই সময়: স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)–এর মাধ্যমে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী পদে ২০১৬–র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরে আচমকা স্কুলের চাকরিতে কিছু বাড়তি পদ (সুপার নিউমেরারি পোস্ট) তৈরির সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার অবশ্য জানিয়েছিল, বঞ্চিত দাবি করে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের জন্যেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনও মিলেছিল সেই পদ তৈরিতে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গত বছর ২২ এপ্রিল হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ যখন প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দেয়, তখনই এই ভাবে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথক সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিল।
ওই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল রাজ্য সরকার। বুধবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই মামলা আলাদা করে শোনা হবে। আগামী ৮ এপ্রিল হবে শুনানি।
স্কুলে নিয়োগ–দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলাকারীদের অভিযোগ, বিশাল দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাতেই সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছিল। অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয় আসলে অযোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর তাগিদেই। যদিও রাজ্য সরকার বার বারই জানিয়েছে, এ রকম কোনও সুপার নিউমেরারি পদে কোনও নিয়োগই হয়নি। হাইকোর্টে এমনকী রাজ্যের তরফে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও জানানো হয়েছিল।
এখন দেখার, সুপ্রিম কোর্ট পৃথক শুনানিতে এ বিষয়টিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে কি না। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আপিলের সময় থেকেই অবশ্য তদন্তের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ রয়েছে। তদন্ত হলে রাজ্য মন্ত্রিসভার ভূমিকাও চলে আসতে পারে আতসকাচের নীচে।