• মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক বার্তার উপর শিক্ষকদের ভরসা রাখতে বলব: শিক্ষামন্ত্রী
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ‘মুখ্যমন্ত্রী যে মানবিক বার্তা দিয়েছেন তার উপরে শিক্ষকদের ভরসা রাখতে বলব’, ‘যোগ্য’ কিন্তু চাকরিহারাদের বার্তা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্যানেল বাতিল করার পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরিহারাদের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের ফেরত দিতে হবে বেতনও।

    এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ দিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বঞ্চিত এবং যোগ্যদের পাশে মানবিক এবং রাজনৈতিক ভাবে থাকব। টেন্টেড (অযোগ্য) এবং আনটেন্টেড (যোগ্য) বা একদলকে বেতন ফেরত দিতে হবে এবং একদলকে নয়, তা আমার কথা নয়। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির রায় উল্লেখ রয়েছে। টেন্টেড এবং আনটেন্টেড এসএসসির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এসএসসি যোগ্য বা অযোগ্য ভাগ করতে পারেনি তা নয়। হয়তো তা নিয়ে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে প্রধান বিচারপতির রায়ের পর যোগ্য এবং অযোগ্যের একটা ভাগাভাগি আমরা বুঝতে পারছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য এবং বঞ্চিত তাঁদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সব তরফ থেকে করা হয়, সেই আবেদনও করব।’ এই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হবে কিনা, তা নিয়ে ব্রাত্য জানান, সেই সিদ্ধান্ত এসএসসির। যদি শিক্ষা দপ্তরের থেকে পরামর্শ চাওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়ে তা জানানো হবে।

    চাকরিহারাদের মধ্যে ‘১৭ হাজার জন স্কুলে যাচ্ছেন না’ এই তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই তথ্য সঠিক নয়। আমাদের কাছে এই তথ্য নেই যে তাঁরা স্কুলে যাচ্ছেন না। তবে তাঁরা স্কুলে যেতে পারেন কিনা, তা আমি বলতে পারি না। এসএসসি জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের থেকে ‘লিগ্যাল ক্ল্যারিফিকেশন’ বা আইনি ভাবে রায়ের ব্যাখ্য চাইবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে মানবিক বার্তা দিয়েছেন তার উপরে সমস্ত শিক্ষককে ভরসা রাখতে বলব।’

  • Link to this news (এই সময়)