• ‘দুর্গাপুজোয় গোলমাল হলে কি বন্ধ করে দেব?’, হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে কী শর্ত দিল হাইকোর্ট?
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সদর, শালতোড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মতো একাধিক এলাকায় শর্তসাপেক্ষে রামনবমী মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাওড়ায় দু'টি সংগঠনের রামনবমী মিছিলেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, সেই অনুমতি শর্ত সাপেক্ষে।

    রামনবমী মিছিল বন্ধের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় কোথাও গোলমাল হলে কি দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেব?’ হাওড়ায় রামনবমী মিছিলে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। বিচারপতির মন্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি দেব না। পুলিশের অবশ্যই ক্ষমতা আছে। কিন্তু সেই ক্ষমতা থাকা আর প্রয়োগের উপর আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ২০-২২ সালের পর আরও হিংসা কমেছে। আশা করা হচ্ছে হিংসা আরও কমবে।’

    কী কী শর্ত দিল হাইকোর্ট?

    হাইকোর্ট এ দিন জানায়, যে কোনও ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে মিছিল করা যাবে। তবে ধাতুর তৈরি কোনও হাতিয়ার নিয়ে মিছিল করা যাবে না। অঞ্জনী পুত্র সংগঠনের মিছিল করতে হবে সকালে। অন্যদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল হবে বিকেলে। সকাল ৮:৩০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মিছিল করবে অঞ্জনী পুত্র সেনা। বিকাল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত মিছিল করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দুই সংগঠনই ৫০০ জনের বেশি লোক নিয়ে মিছিল করতে পারবে না। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আইডি কার্ড থাকতে হবে।

    রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এ দিন আদালতে দু'টি সংগঠনকে পৃথক সময়ে মিছিল করার জন্য অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মেনে নেয় হাইকোর্ট।

    সংশ্লিষ্ট এলাকায় মিছিল নিয়ে টানাপড়েনের কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাওড়ার বাসিন্দারাও। তাঁদের আইনজীবী ছিলেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। ওই এলাকায় কি প্রতিদিন ঝামেলা হয়? রাজ্যের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির সংযোজন, ‘কোনও এলাকা নিয়ে পুলিশ যদি আশঙ্কা প্রকাশ করে, তা হলে সেটা রাজ্যের পক্ষে ভালো দেখায় না।’ এর পরেই বিচারপতি জানান, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই মিছিলে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না।

  • Link to this news (এই সময়)