কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে থাকাকালীন তিনিই SSC দুর্নীতিতে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার দাবি করছেন, এখনও যোগ্য-অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার SSC মামলার সুপ্রিম রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা রাতারাতি চাকরিহারা হয়েছেন। চাল থেকে কাঁকর বাছাই করা সম্ভব হয়নি ফলে টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রাপকদের সঙ্গেই চাকরি খুইয়েছেন অসংখ্য ‘যোগ্য’ প্রার্থীও। তার মধ্যে প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান BJP সাংসদের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
BJP সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। এখন দোষারোপ করার সময় নয়।’ একইসঙ্গে একটি কমিটি গঠন করে SSC চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত কমিটিতে তিনি থাকতে রাজি আছেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। একইসঙ্গে এই কমিটির সদস্য করার জন্য আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিমের নামও প্রস্তাব করেছেন তিনি।
BJP সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবির প্রেক্ষিতে আইনজীবী সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এসব বলে কোনও লাভ নেই।’ তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সমাধান একমাত্র সম্ভব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত পথেই। শীর্ষ আদালতের রায়ের কোনও রিকনসিলিয়েশন হয় না। BJP নেতারা কী বললেন তা অর্থহীন।’