• দু’হাত ঘুরে যাও বা মিলল চাকরি, ভাগ্যের বিপর্যয়ে তা-ও টিকল না, ভেঙে পড়েছেন সেই অনামিকা
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ২০২২ সালের ১৭ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন  মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি  পেয়েছিলেন মামলাকারী ববিতা সরকার। কিন্তু সেই নিয়োগও নিয়ম বর্হিভূত বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। আদালতের নির্দেশেই ২০২৩ সালের মে মাসে ববিতার চাকরি পান অনামিকা। ভাগ্যের বিপর্যয় এমনই, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অনামিকারও।

    অনামিকা বললেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলাম। আমার নিয়োগ বেআইনি নয়। আমার ২ সন্তান রয়েছে। স্বামী বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। আমার চাকরি বড় ভরসা ছিল পরিবারের কাছে।’

    অঙ্কিতা অধিকারীর পরিবর্তে ২০২২ সালের ৩০ জুন চাকরিতে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। প্রথমে তাঁর চাকরিজীবন ভালোই কাটছিল। পরে আসরে নামেন অনামিকা। তিনি দাবি করেন, স্নাতকস্তরে ৮০০-র মধ্যে ৪৪০ নম্বর পান ববিতা। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ। কিন্তু আবেদনপত্রে তা শতকরা ৬০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ৮ নম্বর পান তিনি। কিন্তু তাঁর পাওয়ার কথা ৬। এই মর্মে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় ববিতার চাকরি পান অনামিকা। ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্যানেল বাতিলের জেরে তাঁরও চাকরি গিয়েছে। 

    অর্থাৎ, দু’হাত ঘুরে যে চাকরি তিনি পেয়েছিলেন তা-ও থাকল না। আগামীতে কি পরীক্ষায় তিনি বসবেন? এই প্রসঙ্গে অনামিকা বলেন, ‘পরীক্ষায় বসতেই পারি। কিন্তু একজন ২৫ বছর বয়সে যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে পারেন, তিনি ৫০ বছরে তা করতে পারেন না। ২০১৬-তে যে ভাবে পরিশ্রম করেছিলাম বা সেই সময় যে পরিস্থিতি ছিল তা নিশ্চয়ই এখন আর নেই।’

  • Link to this news (এই সময়)