এই সময়, অশোকনগর: কিডনি বিক্রি চক্রের তদন্তে কলকাতার এক নেফ্রোলজিস্টের নাম আগেই জানতে পেরেছিল পুলিশ। এ বার ওই চিকিৎসকের নামে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল অশোকনগর থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক বছর আগে কলকাতায় ওই নেফ্রোলজিস্ট কিডনি পাচারের অন্য একটি ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ বার ওই নেফ্রোলজিস্টের বিরুদ্ধে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেফ্রোলজিস্ট গত দু’সপ্তাহ ধরে নিয়মিত চেম্বারও করছেন না। অশোকনগরের বাসিন্দা রাজীব দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে কিডনি বিক্রি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলাস্তরে তাঁর স্ত্রীর কিডনি দানের কোনও রেকমেন্ডেশন ছিল না। অথচ অদৃশ্য কারণে তিনি রাজ্য থেকে কিডনি দানের অনুমতি পেয়ে গিয়েছিলেন। একই ভাবে ধৃত সুদখোর ব্যবসায়ী শীতলের চাপে একাধিক কিডনি বিক্রেতারও জেলাস্তরে ‘নট রেকমেন্ড’ আবেদনপত্র পরবর্তীতে রাজ্য স্তর থেকে ‘রেকমেন্ডেড’ হয়েছিল।
গত দু’বছরে বারাসত মহকুমা এলাকায় কমবেশি ৩০ জন কিডনি দান করতে চান বলে জেলাস্তরে আবেদন করেছিলেন বলে অশোকনগর থানার পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ২০টি ‘নট রেকমেন্ড’ হয়েছে জেলাস্তরে। কিন্তু সেই আবেদনগুলি পাশ করাতে প্রভাবশালী ওই নেফ্রোলজিস্টের ভূমিকা ছিল।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের একটি টিম তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কোথায় কোথায় ওই নেফ্রোলজিস্ট রোগী দেখেন তা খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। ওই নেফ্রোলজিস্টের কাছে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। বারাসত পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, ‘ওই নেফ্রোলজিস্টের ভূমিকা আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি ধৃতদের বয়ান যাচাই করা হচ্ছে।’