• যোগ্য চাকরিহারারা এবার কী করতে পারেন? শুভেন্দুর পরামর্শ, তুললেন 'আমার সাহেব' প্রসঙ্গও
    আজ তক | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একসঙ্গে এত শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি যাওয়াতে রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোয় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। এদিকে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া শিক্ষকদের পাশে রাজ্য বিজেপি রয়েছে বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সদ্য চাকরি হারানো যোগ্যদের তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, দুর্নীতি নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে পাপী ও চোর বলে কটাক্ষ করেন। 

    শুক্রবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের বিরোধী দলনেতা বলেন,'গোটা পশ্চিমবঙ্গ বেশ কয়েকবার কালিমালিপ্ত হয়েছে এই মুখ্যমন্ত্রী সময়কালে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এসএসসি অটোনোমাস বডি। মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন না যে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসএসসি-র অটোনমমি শেষ করেছিলেন।। মুখ্য়মন্ত্রীর মদতেই দুর্নীতি হয়েছে। আমার মনে হয় যাদের ওএমআর ঠিক আছে, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয় বিবেচনা করবে। যোগ্যদের ক্ষেত্রে এটা পরামর্শ দিলাম। তাঁদের উচিত ব্যক্তিগতভাবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে আরেকটা আইনি চেষ্টা করার।'

    ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন হবে বলে আবারও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি জানান, ক্ষমতায় এলে বিজেপি চাকরিহারা যোগ্যদের চাকরি ফেরানোর চেষ্টা করবে। তিনি বলেন,'১০ মাস পরে বাংলায় বিজেপি সরকার, যোগ্যদের তালিকা বের করে আইনি লড়ার করে তাঁদের চাকরি ফেরানোর কথা বলব। হাতে তিন মাস সময় আছে। এই মুহূর্তে যোগ্যদের চিন্তা করার কোনও কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। ১৮ হাজার যোগ্য শিক্ষক শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ দেখার দায়িত্ব আমাদের। কারও সামাজিক সম্মান নষ্ট হবে না। আপনারা যোগ্য, সেটা ৪৪ নম্বর প্যারাতে বলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে গোটা বাংলা আছে। আপনারা মাথা নত করবেন না। অর্ডারে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা বলা হয়েছে, ১৭ রকমের দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে।'

    বিরোধী দলনেতার দাবি,  ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য বেআইনিভাবে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন মন্ত্রিসভার সকলকেই গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, '২২ সালের ৫ মে-র সেই ক্যাবিনেটকে জেলে দেখতে চাই। সব মন্ত্রী, হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মণীশ জৈন, মনোজ পন্থকে জেলে দেখতে চায় বাংলা। চোর মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল সকার দায়ী। এই পাপ যাতে জেলে যায়, মমতা নামক পাপ, চোর যাতে জেলে যায়। বাংলাকে সর্বনাশ করেছেন। মুসলমানদের ওবিসি করতে গিয়ে ১০ লক্ষ সার্টিফিকেট বাতিল। পথে বসালেন ১০ লক্ষ মুসলিম যুবককে। এর পাপও ভুগতে হবে। ৭ তারিখ মমতা ড্রামা করুন। ওইদিন আমরা চোর মমতা স্লোগানে ভরিয়ে দেব। দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।'
  • Link to this news (আজ তক)