রাম নবমী নিয়ে আবারও পুলিশকে হঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাম নবমীর মিছিল থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশকে সমাজ বিরোধী হিসেব মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। আগামী রবিবার ৬ এপ্রিল রাম নবমী। এবার রাজ্য বিজেপি বড় করে রাম নবমী পালনের পরিকল্পনা করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা এনিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বলেছেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার অন্তত ১ কোটি মানুষকে অস্ত্র মিছিলে নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এই কথা জানিয়েছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যজুড়ে তিন হাজার শোভাযাত্রা বের করবে শ্রীরাম নবমী উদযাপন সমিতি।
প্রতি বছর রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় মিছিল বের হয়, যা কখনও কখনও উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের উপস্থিতি ও নজরদারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই আগেভাগেই পুরো বাহিনীকে সতর্ক রেখে ছুটির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ৯ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। অতিরিক্ত ডিজিপি (প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা) জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্যের আইজিপি, সিপি, ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার, আরপি এবং বিশেষ বাহিনীর আধিকারিকদের জানানো হয়েছে যে এই সময়ে কোনও ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। তবে চূড়ান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে ছুটির আবেদন বিবেচনা করা হতে পারে।
শুক্রবার এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পুলিশের অবশ্যই চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে কারণ তারা অযোগ্য এবং রাজ্যজুড়ে রাম নবমীর মতো বড় অনুষ্ঠান কীভাবে সামলাতে হয় তা জানে না। যদি পুলিশ আমাদের থামানোর চেষ্টা করে, আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে, তাহলে আমরা তাদের সমাজবিরোধী হিসেবে মোকাবিলা করব।'
এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মহরমে যদি অস্ত্রসহ মিছিল হতে পারে, তবে রামনবমীতেও তা হওয়া উচিত। আমাদের সব দেব-দেবীদের হাতে অস্ত্র রয়েছে। মিছিলের সুরক্ষার জন্যই অস্ত্র নিয়ে বেরনোর দরকার আছে কারণ পুলিশের ওপর ভরসা নেই। পুলিশের নিজেদেরই সুরক্ষা নেই, তারা কীভাবে অন্যদের সুরক্ষা দেবে।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, 'পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দিলে হয় আদালতের অনুমতি নিতে হবে, না হলে প্রতিরোধ করতে হবে।' রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে সায় দেওয়া হয়েছে। আরএসএসের পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র প্রচার-প্রমুখ জিষ্ণু বসু বলেন, 'রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হতেই পারে। মহরমেও তো হয়। তবে এটা আইনশৃঙ্খলার বিষয়। পুলিশ প্রশাসন যদি মনে করে মহরমে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে কোথাও কোনও অশান্তি হবে না, তা হলে রামনবমীতেও অনুমতি দেবে।'