• 'মাথা কেটে হাতে ধরিয়ে দিতাম!' সরকারি হাসপাতালে 'অন ডিউটি' নার্সকে হুমকি-আক্রমণ TMC নেতার!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • রণজয় সিংহ: সরকারি হাসপাতালে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি। HDU ইউনিটে দলবল নিয়ে ঢুকে কর্তব্যরত নার্সকে হুমকি এবং দুর্ব্যবহার, লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ। এমনকি একজন নার্সকে বিজেপি সমর্থক বলে দেখে নেওয়ারও হুমকি! ঘটনাস্থল মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কাঠগড়ায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম।

    বুধবার হাসপাতালের এসডিইউ ইউনিটের চিকিৎসারত মতিহারপুর এলাকার বাসিন্দা আরিফা বেওয়ার মৃত্যু হয় সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ। মৃতা এই বৃদ্ধা চাঁচল ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আফাজউদ্দিন আহমেদের মা। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ছাড়া হয় মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পর। কিন্তু তাঁরা দাবি করেন আগেই ছাড়তে হবে। এরপরই সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য সাইরা বানু, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অমিতেশ পান্ডে সহ আরও বেশ কয়েকজন HDU ইউনিটের ভিতর ঢুকে পড়েন।

    অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত নার্স রিক্তা সরকার তাঁদের ভিতরে ঢোকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে হঠাৎই সামিউল ইসলাম চিৎকার শুরু করেন। অভিযোগ, ওই নার্সকে হুমকি দেন ছেলে হলে মাথা কেটে হাতে ধরিয়ে দিতেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশা নিয়ে কটূক্তি করেন। এমনকি তাঁকে বিজেপি বলে কটাক্ষও করেন। আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন নার্স। উপস্থিত পুলিস এবং নিরাপত্তাররক্ষীরা কেউ-ই তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতাকে ক্ষান্ত করতে পারেনি।

    তারপরই নার্সরা সমবেতভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এবং তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতাল সুপারের দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সাফাই সময়ের আগে মৃতদেহ ছাড়া হচ্ছিল বলে তাঁর স্ত্রী জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশ্ন করেছিলেন। ওই নার্স দুর্ব্যবহার করায় তিনি তাঁর প্রতিবাদ করেন।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)