• চাকরি যাওয়ার পরও মানবিকতার খাতিরে স্কুলে টিআইসি, পরীক্ষা হল ‘ভাড়া করা’ শিক্ষককে
    প্রতিদিন | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: স্কুলের মোট শিক্ষক ছিলেন ১৫ জন। প্যারা টিচার ৪ জন। সুপ্রিম রায়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-সহ চাকরি গিয়েছে, ১১ জনের। এখন সাকুল্যে রয়েছেন ৮ জন স্থায়ী-অস্থায়ী শিক্ষক। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৭৬০জন। এদিকে চলছে পরীক্ষা। স্কুল চলবে কী করে? সেই চিন্তায় জীবনের বিভীষিকাময় রাত কাটিয়ে স্কুলে হাজির সদ্য চাকরিহারা টিচার ইনচার্জ। পরিচালন কমিটির অনুমতি নিয়ে গেস্ট টিচার দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী। সেই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের সুতি ১ ব্লকের বহুতালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক। চাকরিহারা এই বিদ্যালয়ের স্বয়ং টিআইসি জিয়াউল হক। স্কুলে প্রধান না থাকায় ৩ বছর ধরে স্কুলের দায়িত্ব সামলাছিলেন তিনি। চাকরি বাতিলের রায়ের পর শুক্রবার ১০ জন শিক্ষক স্কুলে আসেননি। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন পড়য়াদের কথা ভেবে মানবিকতার খাতিরে স্কুল ছেড়ে থাকতে পারলেন না ‘প্রাক্তন’ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল। কারণ, তিনি না থাকলে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা পরিচালনা ঠিক মতো করা যাবে না বলেই দাবি তাঁর। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুক্রবারও স্কুল এসে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। স্কুল পরিচালন কমিটির সাহায্যে গেস্ট টিচার নিয়ে এসে পরীক্ষা চলছে বহুতালি স্কুলে।

    বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রায় ঘোষণার পর বাংলা, ইতিহাস এবং শারীরশিক্ষা ছাড়া কোনও স্থায়ী টিচার স্কুলে থাকল না। বিজ্ঞান বিভাগ চলবে গেস্ট টিচারের সাহায্যে। যার কারণে বিপাকে পড়ুয়ারা। ঠিক তেমনই চিন্তিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সামনের দিন কীভাবে স্কুল চলবে সেই বিষয়ে চিন্তায় পড়েছে স্কুল পরিচালন সমিতি থেকে অভিভাবকরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)