‘রাজ্যের চিঠি পেয়েছি’, সুপ্রিম নির্দেশ মেনে বিশেষ নিয়োগ নিয়ে কী বললেন SSC চেয়ারম্যান?
প্রতিদিন | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। মূল প্রশ্ন, কবে হবে নিয়োগ, কারা অংশ নিতে পারবেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরিহারাদের খানিকটা আশার আলো দেখালেন এসএসসি চেয়ারম্য়ান সিদ্ধার্থ মজুমদার। জানালেন, “রাজ্যের তরফে চিঠি পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ (SSC Recruitment Case Verdict) মেনেই নিয়োগের কাজ শুরু হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হবে।” তবে তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এসএসসি চেয়ারম্য়ান।
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্য়ান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেখানেই তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যের তাঁদের দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ (SSC Recruitment Case Verdict) মতোই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সময়ই সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, নির্দেশ মেনে যাঁরা আইনের চোখে দাগি নন, তাঁদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ বয়সের ক্ষেত্রে খানিকটা ছাড় মিলবে। তবে এই মুহূর্তেই নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শুরু সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে। নতুন প্রার্থীরা আদৌ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নাকি জানা নেই এসএসসির। ফলত এহেন একাধিক বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে হবে। তারপরই শুরু হবে নিয়োগের কাজ। সিদ্ধার্থবাবু জানিয়েছেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কোর্টের কলমের খোঁচায় চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে দফায় দফায় সেই মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিল এবং বেতন ফেরতের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর থেকে দফায় দফায় শুনানি চলছিল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল শেষ শুনানি। তখন সিবিআই জানায়, তারা চাইছে, কলকাতা হাই কোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকুক। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, র্যাংক জাম্প বা প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, একসঙ্গে এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায় শোনান তিনি। বাতিল করেন ২৫,৭৫২ হাজার চাকরি।