• 'শকুনের কাজ শকুন করেছে…' চাকরিহারা ২৬০০০, ছড়া লিখে ফেললেন দেবাংশু!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। একেবারে দিশেহারা অবস্থা অনেকের। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। কীভাবে ফের চাকরি মিলবে তা নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। আর তারপর ছড়া লিখলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, শকুনের কাজ শকুন করেছে, চাকরি খেয়েছে হায়! মানুষের পেটে লাথি মেরে কি, ক্ষমতায় আসা যায়?

    এক্স হ্যান্ডেলে ঠিক কাদের নিশানা করেছেন দেবাংশু?

    দেবাংশু লিখেছেন, শকুনের কাজ শকুন করেছে,

    চাকরি খেয়েছে হায়!

    মানুষের পেটে লাথি মেরে কি, ক্ষমতায় আসা যায়?

    বাংলার ২৫,৭৫৩ মানুষ চাকরিহারা। দিশেহারা মানুষদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা-মজা করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শকুনের রাজনীতি করছে বাংলা বিরোধীরা। রুটি-রুজি ছিনিয়ে নেওয়ার পর এদের পৈশাচিক উল্লাস দেখলেই বোঝা যায়, এদের আসল উদ্দেশ্য বাংলার অচলাবস্থা তৈরি করা।

    এসব শকুনদের শত চেষ্টার মাঝেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিকভাবে চেষ্টা করে চলেছেন দ্রুত সুরাহা করার।

    এটাই পার্থক্য!

    এরপর তিনি বিজেপি নেতানেত্রীদের একাধিক সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টকে তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল, অমিত মালব্য রয়েছেন।

    সেই সমস্ত পোস্টে মূলত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চুরি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। শুভেন্দু লিখেছিলেন, অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি।

    বঙ্গ বিজেপি লিখেছিল ২৬০০০ চাকরি বাতিল। ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় দুর্নীতির সাক্ষী থাকল দেশবাসী। যে দুর্নীতিতে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষকের ভবিষ্যত ও গোটা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হল একমাত্র দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    সুকান্ত মজুমদার লিখেছিলেন যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন এবার চাকরি গিয়েছ তাঁরা সুদ সহ তৃণমূলের নেত্রীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান।

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও সেই একই কথা লিখেছিলেন। সুদ সহ তৃণমূলের নেত্রীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়া উচিত।

    অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছিলেন কেবলমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় একলা নন, এর দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও।

    কার্যত বিজেপি নেতাদের সরাসরি নিশানা করেছেন দেবাংশু। দেবাংশু লিখেছেন শকুনের রাজনীতি। এরপরই বিজেপি নেতা নেত্রীদের একাধিক পোস্টকে উল্লেখ করেছেন দেবাংশু।

    তবে সেই পোস্টের পরে একদিকে যেমন বিজেপি নেতাদের ধিক্কার দিচ্ছেন কয়েকজন। তেমনি দেখা গিয়েছে একাধিক জন পালটা দেবাংশুকেই আক্রমণ করছেন।

    তৃণমূলকে নানাভাবে সমালোচনা করছে নেটিজেনদের অনেকেই। দেবাংশুকেও কটাক্ষ করেছেন কয়েকজন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)