• ‘‌নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়’‌, জবাব এসএসসি চেয়ারম্যানের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার মানুষজনের চাকরি গিয়েছে। তা নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে গোটা বাংলায়। এই আবহে আজ, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন এসএসসি’‌র চেয়ারম্যান। সেখানে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার স্পষ্ট ভাষায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছু ধন্দ আছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের ঘটনায় আইনি পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছু ধন্দ রয়েছে। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি চাকরিহারাদের।

    এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে। আর রাজ্য সরকার সেই নিয়োগ করার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে এসএসসি’‌কে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‌পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ২৬ লক্ষ প্রার্থী। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২২ লক্ষ। এঁদের মধ্যে নবম–দশমের এক লক্ষ ৪১ হাজার এবং একাদশ–দ্বাদশের দেড় লক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। তাই এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। তিন মাসের কথা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ নেই। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া।’‌ তবে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করা হবে।


    অন্যদিকে নতুন নিয়োগে কারা অংশ নেবেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই বলে জানান এসএসসি চেয়ারম্যান। এই বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে বলে আজ জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি’‌র চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘‌অন্য চাকরি থেকে কেউ এসে থাকলে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। যিনি চাকরিরত, এটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব। তিনিই পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপারনিউমেরি পদ তৈরি করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে কমিশন।’‌

    এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নবম–দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ১২,৯০৫ জন। একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ৫,৭১২ জন। আর বাকিরা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। আজ এসএসসি চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‌সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা শুরু করি, সেই বার্তা সরকার থেকে এসেছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার জন্য আমরা প্রস্তুত। আইনজীবীর সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের বয়সের ছাড় দেওয়া হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)