• পার্থর বিরুদ্ধে মামলা চালানো নিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদন সঠিক, জানাল রাজভবন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ এপ্রিল ২০২৫
  • এসএসসি’‌র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তার জেরে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরিহারা হয়েছেন। এই নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে বিরোধীরা দায়ী করছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় মেনে নিতে পারছেন না মানবিক কারণে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এই কাজের পিছনে রয়েছে বিজেপি–সিপিএম বলেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে এবার আসরে নামল রাজভবন। রীতিমতো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজভবন দাবি করল, তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এসএসসি’‌র নিয়োগ দুর্নীতিতে মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল, তাকে কার্যত বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    এই কথা মনে করিয়ে দিয়ে আবার রাজ্য–রাজভবন সংঘাতে জড়াল কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টই রাজ্যপালকে দু’‌সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া সার্চ কমিটি থেকেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেছে নিতে হবে উপাচার্য। এই আবহে এসএসসি মামলার রায়ের পর রাজভবনের মিডিয়া সেলের পেজ থেকে পোস্ট করা ওই বক্তব্য নিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‌এখানে প্রদত্ত বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্যের জন্য এবং মাননীয় রাজ্যপালের বক্তব্য হিসেবে গণ্য করা যাবে না।’‌

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দেশের সংবিধানের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের অনুমোদন দেন। তার ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। এখনও তিনি জেলেবন্দি। জামিন বারবার চেয়েও মেলেনি। সুপ্রিম কোর্টেও প্রমাণিত হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি। কলকাতা হাইকোর্টের ২০২৪ সালে দেওয়া রায় বহাল রেখে পুরো এসএসসি প্যানেল বাতিল করেছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন।


    এই রায়ের জেরে যোগ্য–অযোগ্য দু’‌পক্ষই চাকরি হারিয়েছেন। আর রাজভবন এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, রাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধান। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচারপ্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে দোষীরা বিচারের আওতায় আসবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সুবিচার মিলবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় তার অবস্থানকে সঠিক প্রমাণ করেছে। রাজভবন দাবি করেছে, রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। জন কী বাত, সিটিজেন কানেক্ট, অভয়া প্লাস, লাস্ট মাইল, ফার্স্ট স্মাইল, জন রাজ ভবন, দুর্নীতি দমন সেল, মোবাইল রাজ ভবন, গ্রাউন্ড-জিরো রাজ্যপাল, পিস রুম ও পিস হোম, লগ সভা এবং জন মঞ্চ। রাজভবন দাবি করেছে, রাজ্যপালের পদক্ষেপ অবৈধ নিয়োগ বাতিল থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রশাসনিক শুদ্ধি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাতেও একটি বড় মাইলফলক স্থাপন করল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)