জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাপস চট্টোপাধ্যায় বনাম সব্য়সাচী দত্ত? রাজারহাটে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'। দিনেদুপুর ভাঙচুর, গুলি! স্থানীয়দের দাবি, প্রায় চার রাউন্ড গুলি চলেছে। তুমুল আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজারহাটের নারায়ণপুর থানা এলাকার ইজ়রায়েলি পাড়ার বাসিন্দা আজাদ বাবা। তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত তিনি। আজাদের দাবি, ঈদের দিনে সব্য়সাচী দত্তকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে বাড়িতে এসেছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান। তা নিয়ে গণ্ডগোল। অভিযোগ, আজ শুক্রবার সকালে আজাদের বাড়িতে হামলা চালান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। স্রেফ ভাঙচুর আর মারধর নয়, বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নারায়ণপুর থানার পুলিস। সঙ্গে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটে পদস্থ আধিকারিকরা। কারা হামলা চালাল? কেনই-বা হামলা চালাল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, 'আমি রাজারহাটে শান্তি বজায় রাখার জন্য ৪২ বছর ধরে কাজ করছি। কোনও একটা পাড়াগত ঘটনা ঘটেছিল।গন্ডগোল ঘটনা স্থানীয়ভাবে হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখবে। দোষীদের শাস্তি দেবে। রাজারহাট নিউটাউনে কোনও গোষ্ঠী নেই'।
সব্যসাচী দত্তের বক্তব্য, 'গুলি চলেছে এটা বাস্তব। পুলিসও বলছে গুলি চলেছে। লোকাল লোকও বলছে গুলি চলেছে। যাঁরা গুলি চালিয়েছে,আমি মনে করি এরা পুরোপুরি দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীর কোনও স্থান নেই তৃণমূলে'। তাপস চট্টোপাধ্যায়েই নির্দেশেই কি গুলি চলেছে? তিনি বলেন, 'কার নির্দেশ, সেটা আসামি ধরা পড়লে, নাম বললে ১২০ বি হবে। নাম বললে ১২০ বি হবে। যেকোনও মানুষ খুশির ঈদের যে কারও বাড়ি যেতে পারে। সে যদি নিমন্ত্রিত থাকে, আমাকে প্রচুর মানুষ নিমন্ত্রণ করেছেন। যাঁরা করেননি, তাঁরা রাস্তা ধরে গলা মিলিয়েছেন। এই পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য, কৃষ্টি সংস্কৃতি। যাঁরা এই কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ভাঙতে চাইবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী আছে সম্ভব হবে না'।