বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কোচবিহার! বিজেপির জেলা অফিস থেকে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানো ও তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। পালটা বিজেপির অভিযোগ, পার্টি অফিসে ঢুকে কর্মীদের মারধর ও জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা এলাকায়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই বিক্ষোভের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। স্থানীয় রাসমেলা মাঠে জমায়েত করে মিছিল শেষ করে তারা। সেখান থেকে বাসে করে দিনহাটার তুফানগঞ্জে যাচ্ছিলেন সমর্থকরা। সেই মাঠ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে জেলা বিজেপির পার্টি অফিস। সেখানে এদিন এসএসসি চাকরি বাতিল নিয়ে কর্মসূচি ছিল গেরুয়া শিবিরের। দু’দলের কর্মীরা সামনাসামনি হতেই স্লোগানিং পালটা স্লোগানিং চলতে থাকে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের ছেলেরা তাঁদের জেলা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও কর্মীদের মারধর করে। তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, পার্টি অফিস থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ।
বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক মালতী রাভা বলেন, “২৬ হাজার চাকরি বাতিলে তৃণমূল সরকার দায়ী। তারই প্রতিবাদে আমাদের যুব মোর্চা পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিলের ডাক দেয়। বিজেপি যাতে পথে না নামতে পারে সেই জন্য তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়েছে। তবে আমরা থামব না। প্রতিবাদ হবেই।”
পালটা হামলার অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সায়নদীপ গোস্বামী বলেন, “তুফানগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বিজেপির কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র, বাটাম, ইট নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাস ভাঙচুর করে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। পুলিশ মোতায়েন এলাকায়।