বাড়ির বাঙ্কারে ‘গুপ্তধন’, ১০৯২ কেজি গাঁজা উদ্ধার শীতলকুচিতে, গ্রেপ্তার দুই
বর্তমান | ০৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি ও মাথাভাঙা: নির্মীয়মাণ ঘরের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল বাঙ্কার। আর সেখানেই যেন লুকিয়ে রাখা হয়েছে ‘গুপ্তধন’। পুলিসি অভিযানে এক বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ এই ‘গুপ্তধন’ গাঁজা উদ্ধারে শোরগোল শীতলকুচিতে। বাঙ্কার ও বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ছিল বস্তাভর্তি গাঁজা। দুই জায়গা থেকে এদিন মোট ১০৯২ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কল্পনা মণ্ডল (৪০) এবং লোকনাথ রায় (২৫) দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা।
শুক্রবার সকালে গোপন সূত্রে শীতলকুচি থানার পুলিসের কাছে খবর যায়, ভাঐরথানা পঞ্চায়েতের মাঘপালা গ্রামে একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুত রয়েছে। এরপরই গ্রামের কুশ মণ্ডলের বাড়িতে পুলিস টিম পৌঁছয়। বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিস কর্তাদের। নির্মীয়মাণ ঘরের মেঝেতে রয়েছে বাঙ্কার। আর সেখানে যেন বেশ কয়েকটি বস্তায় প্যাকেট করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল গুপ্তধন। শুধু তাই নয় বাড়ির পিছনেও গর্ত করে গাঁজা রাখা ছিল। পোকা কিংবা বৃষ্টির জলে যাতে গাঁজার গন্ধ কিংবা গুণমাণ যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, এজন্য প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মাথাভাঙা এসডিপিও সমরেন হালদার, শীতলকুচি জয়েন্ট বিডিও সন্দীপন দাশগুপ্ত ও ওসি অ্যান্থনি হোড়ো। এরপর বাঙ্কার থেকে বস্তাগুলি উদ্ধার করা হয়। বাড়ির দুই জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ দাঁড়ায় একহাজার বিরানব্বই কেজি।
কয়েকমাস ধরে অবৈধ গাঁজা চাষ ও পাচার রুখতে বিভিন্ন কার্যকলাপ চালাচ্ছে কোচবিহার জেলা পুলিস। একসঙ্গে এত পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের ঘটনাকে বড়সর সাফল্য মনে করছেন পুলিস আধিকারিকরা। এবিষয়ে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই জানান, একহাজার বিরানব্বই কেজি গাঁজা সহ কল্পনা মণ্ডল ও লোকনাথ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের মাথাভাঙা মহকুমা আদালতে তুলে সাত দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। গাঁজা গুলি তারা চাষ করেছিল নাকি অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে মজুত করেছিল ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।