আট শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ শূন্য
বর্তমান | ০৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, চাঁচল: সুপ্রিম-রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি খোয়ালেন চাঁচল ১ ব্লকের শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুলের আটজন শিক্ষক। দু’জন জীবনবিজ্ঞান ও ছয়জন ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক চাকরি হারানোয় ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ কার্যত কালো মেঘে ঢেকেছে। যা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারাও। ৯৭ বছরের পুরনো স্কুলটি চাঁচলের গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে।
মকদমপুর, অলিহোন্ডা, মহানন্দপুর ও বরুই অঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার মোট ২৭৬৮ জন ছাত্রছাত্রী বর্তমানে সেখানে পাঠরত। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর, কৃষিজীবী। বাইরে গিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলির টিউশন পড়ানো সামর্থ্য নেই অনেকের। স্কুলের ক্লাসের উপরই এতদিন ভরসা করত পড়ুয়ারা। শিক্ষকেরা যত্ন সহকারে ক্লাস নিতেন বলে স্কুলের দাবি। স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শূন্য হওয়ায় ক্লাস কীভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তায় ছাত্রছাত্রীরা। দ্বাদশের ছাত্রী গুলেনুর খাতুনের কথায়, স্কুলে ক্লাস না করলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে দেব। বাইরে টিউশন পড়ার সামর্থ্যও নেই। বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশের জাহাঙ্গীর আলম বলে, স্যারেরা ভালোই ক্লাস করাতেন। একাদশ শ্রেণিতে ফলাফল ভালো হয়। স্কুলে ক্লাস না করলে উচ্চ মাধ্যমিকে কীভাবে বসব, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
স্কুল সূত্রে খবর, নিউট্রেশন বিষয়ে কোনও শিক্ষক ছিলেন না। বিজ্ঞানের শিক্ষকরাই সেই ক্লাস নিতেন। এবার সেই ক্লাস কে সামলাবে, তা নিয়ে চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক সঙ্কটে পঠনপাঠন কার্যত লাটে উঠবে বলে আশঙ্কা অভিভাবকদের। এক অভিভাবক উৎপল মণ্ডল বলেন, আশা করে ছেলেকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করেছিলাম। স্কুলে ক্লাস না হলে টিউশনের খরচ কীভাবে টানব। শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেনুর আলম বলেন, আটজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। স্কুলে বিজ্ঞান বিষয়ের পাঠদান কীভাবে হবে,আমরাও চিন্তায় রয়েছি। নিজস্ব চিত্র