• এপ্রিলের বেতন নিয়ে সংশয়, উৎকণ্ঠায় বহু চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, কী জানাচ্ছে বিকাশ ভবন?
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ‘এপ্রিলের বেতন কি পাব?’ ভয়ানক উৎকণ্ঠায় ভুগছেন চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত বরখাস্তের নোটিস হাতে পাননি কেউ। আদালতের রায় শোনার পরও তাই শুক্র-শনিবারও স্কুলে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। কিন্তু বেতন পাওয়া নিয়ে সংশয় তাঁদের মনে।

    কী বলছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা?

    চুয়াডাঙা হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক রাজকুমার বেরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে তাঁরও। তিনি বলেন, ‘এপ্রিলের বেতন পাব কি না বুঝতে পারছি না। আমাদের ইএমআই রয়েছে। কী ভাবে সামাল দেবো? এখনও বরখাস্তের কোনও নোটিস পাইনি। ফলে স্কুলে যাব কি না, তাও আমার কাছে স্পষ্ট নয়।’

    একই কথা বললেন ঝাড়গ্রামের পড়শুলি ঝাড়েশ্বর হাইস্কুলের শিক্ষক মনোজিৎ মাইতি। তিনি বলেন, ‘আগামী মাসে যদি বেতন না পাই সেক্ষেত্রে কী হবে কিছু বুঝতে পারছি না। মানবিকতার খাতিরে যোগ্যদের পুনর্বহাল করুন।’ গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা মঞ্জরী মান্নাও এপ্রিলের বেতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    কী বলেছিল এসএসসি?

    শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছিলেন, ‘বেতনের বিষয়টি বলতে পারব না। কমিশন নিয়োগকর্তা নয়। কমিশন বেতন দেয় না।’

    কী বলছে বিকাশ ভবন?

    যদিও এই চাকরিহারাদের প্রশ্নের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছে বিকাশ ভবন। সেই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে এই ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি যে থাকবে না তা নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে আদালতের রায় কার্যকরী করতে আগে রাজ্য সরকার নির্দেশ দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেই নির্দেশ পেলে এসএসসি এই প্রায় ২৬ হাজার জনের নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করার জন্য আর্জি জানাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। এর পর যে সমস্ত স্কুলে এই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা কর্মরত সেই স্কুলগুলিকে এবং প্রত্যেক প্রার্থীকে পর্ষদ আলাদা ভাবে চিঠি দিয়ে নিয়োগ প্রত্যাহার করবে। যতদিন না পর্যন্ত তাঁরা এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত চিঠি হাতে পাচ্ছেন ততদিন তাঁদের স্কুলে যেতে কোনও বাধা নেই।

    সেক্ষেত্রে এই সময়ের বেতন পেতেও তাদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কেউ নৈতিক বা সামাজিক কারণে স্কুলে যেতে না চাইলে তা নিয়ে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কিছু বলার থাকতে পারে না বলেও জানা গিয়েছে। স্কুল শিক্ষকরা যে স্কুলে যাচ্ছেন না, এই তথ্য নেই বলেই শুক্রবার জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

  • Link to this news (এই সময়)