• লিচু রপ্তানিতে এবার সকলকে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদ, অনুষ্ঠিত হল বিশেষ কর্মশালা...
    আজকাল | ০৫ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিদেশে লিচু রপ্তানিতে বিহার, অসম ,পাঞ্জাব ওড়িশার মতো রাজ্যকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তৈরি পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত লিচু যাতে সঠিকভাবে প্যাকেজিং করে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে কারণে একটি কর্মশালা শনিবার অনুষ্ঠিত হল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের জয়রামপুর এলাকায়।

    কেন্দ্র সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে একটি সংস্থার উদ্যোগে এবং একটি বেসরকারি সংস্থার প্রচেষ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলার লিচু চাষিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই কর্মশালাটি। উদ্যানপালন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩৫০০ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপন্ন হয়ে থাকে।

    রাজ্যের সবথেকে বেশি লিচু উৎপাদন হয় মুর্শিদাবাদে। এছাড়াও নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি জেলার কিছু কিছু এলাকায় লিচু উৎপন্ন হয়। এক আধিকারিক জানান, বিহারের মুজফ্ফরপুর, বৈশালী এবং সমস্তিপুরে উৎপাদিত লিচুর চাহিদা দেশ জুড়ে রয়েছে।

    মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের বিভিন্ন লিচু বাগানে উৎপাদিত বোম্বাই, বেদানা, এলাইচি, কসবা, সহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির লিচুর চাহিদাও দেশের বিভিন্ন বাজারে কিছু কম নেই। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং প্যাকেজিংয়ের যথার্থ ধারণা না থাকায় মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎপাদিত লিচু অন্য দেশে তেমনভাবে রপ্তানি করতে পারেন না চাষিরা।

    কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিতে এসে বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি জি মুস্তাফা বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা ব্লকে রাজ্যের সবথেকে বেশি লিচু উৎপাদন হয়। লিচু রপ্তানির জন্য সর্বপ্রথম দরকার টেকসই প্যাকেজিং। সেটার ওপরেই বৈদেশিক বাণিজ্য অনেকটা নির্ভর করে। প্যাকেজিং ভাল হলে রপ্তানির সময় উৎপাদিত লিচুর গুণমান নষ্ট হয় না’।

    প্রশিক্ষণ শিবিরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিদেশে রপ্তানি করতে গেলে কী কী নথি দরকার তাও জানানো হয় চাষিদের। মিজানুল হক নামে এক কৃষকের বক্তব্য, ‘উৎপাদিত লিচু এতদিন মূলত মুর্শিদাবাদ এবং আশেপাশের কয়েকটা জায়গাতেই বিক্রি করতাম। তবে কর্মশালায় জানতে পারলাম কীভাবে এই লিচু বিদেশে রপ্তানি করা যায়। সম্ভব হলে এই বছর থেকেই বিদেশে লিচু রপ্তানি করা হবে’।
  • Link to this news (আজকাল)