কিরণ মান্না: রামনবমীর দিনে একদিনে বিজেপির রাম পূজা। অন্য দিকে, তৃণমূলের সত্যনারায়ণ পূজা। দাবি, আর তাতেই সংঘাত। দাবি, বিজেপির রাম পূজার প্যান্ডেল তৈরিতে পুলিসি বাধা, কিন্তু একই জায়গায় তৃণমূলের পুজোতে বাধা নেই পুলিসের। এর জেরে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপিকর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের সত্যনারায়ণ পুজোর প্যান্ডেল করতে পুলিস যদি বাধা না দেয়, তবে, আমাদের রাম পুজোর প্যান্ডেল করতে কেন বাধা! আর এই নিয়েই সংঘাত তমলুক শহরে।
আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী উৎসব। রাজ্য জুড়ে পালিত হবে এই উৎসব। এজন্য তৎপরতা গেরুয়া শিবিরে। তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যানারে রামনবমীর পুজো হওয়ার কথা। সেই মতো ব্যানার ফ্লেক্স তৈরি করে মণ্ডপ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এদিকে ওই একই জায়গায় তৃণমূলের রাজ্য যুব সহ-সভাপতি পার্থসারথি মাইতির নেতৃত্বে এই প্রথম সত্যনারায়ণ পুজোর সিদ্ধান্ত নেয় শাসকশিবির। তাদের পক্ষ থেকেও ফ্লেক্স ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয় পুরো এলাকায়।
তবে অভিযোগ, ৫০ মিটারের মধ্যে মেডিকেল কলেজ-সংলগ্ন মাঠে যখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা মণ্ডপ বাধার কাজ শুরু করেছিলেন তখনই সেই কাজে বাধা দেয় পুলিস। তৃণমূলের তরফে সত্যনারায়ণ পুজোর মণ্ডপ বাঁধার কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জেলা পরিষদ মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে।
বিজেপির দাবি, যে জায়গায় তাদের পুজো করতে দেওয়া হল না, সেই জায়গাতেই কীভাবে তৃণমূল সত্যনারায়ণ পুজো করছে, সেটাই তাদের বড় প্রশ্ন! তাদের আরও দাবি, পুজো যে কেউ করতে পারে, তবে তাদের পুজোকে এ ভাবে কেন বন্ধ করা হচ্ছে? সমস্ত ধরনের পারমিশন থাকা সত্ত্বেও কেন এইভাবে তাদের মণ্ডপ বাঁধার কাজে বাধা দিল পুলিস? তবে বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকশিবির। তাদের দাবি-- রামনবমীকে সামনে রেখে আমরা পুজো করছি না। যেমন তিথি পড়েছে, সেই নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আমরা সত্যনারায়ণ পুজো করছি।