প্রদ্যুত্ দাস: চার বছর চার মাস বয়সী শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত যুবককে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। অনাদায়ে আরও দুমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে পাড়ারই এক যুবকের কুকীর্তির শিকার হয়েছিল চার বছর চার মাস বয়সী এক শিশু কন্যা। মায়ের কাছ থেকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করেএ নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফেরার পর যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়ে একরত্তি মেয়েটি। কুকীর্তি ধরা পড়ে যায় ওই যুবকের। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার পুলিস।
ওই ঘটনার দুবছরের মাথায় শনিবার মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত যুবক কে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে বছর আরও দুই মাস কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে শিশু কন্যার পরিবার কে পাঁচ লক্ষ টাকা সাহায্য করার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি কে নির্দেশ দিয়েছেন বলে পকসো আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দও জানিয়েছেন।
সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪ মার্চ ২০২৩ সালে। সেইসময় শিশুটির বয়স ছিল চার বছর চার মাস। ওইদিন সন্ধেয় ওই শিশু মায়ের সঙ্গে পাড়ার এক মুদির দোকানে যায়। মা যখন মালপত্র কিনছিল সেইসময় এই আসামী শিশুটিকে একটি চকোলেট দিয়ে সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে মেয়েটির উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। এরপর শিশুটিকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে এসে তার মায়ের কাছে দিয়ে যায়। শিশুটির মা ভেবেছিল তার মেয়েকে পরিচিত ওই লোকটি ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ বোধ করে। তার যৌনাঙ্গে ক্ষতও লক্ষ্য় করা যায়। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মাকে সব কথা বলে। সবকথা শিশুটির মা তার স্বামীকে বলে। শিশু বাবা অভিযুক্তকে ডেকে আনে। শিশুটি তাকে চিহ্নিত করে। স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তকে মারধর করে। পুলিস এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেদিন রাতেই মেয়ের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ওই মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষ্য দান করে। পকসো আদালতে সওয়াল জবাব শেষে আসামীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্যাতিতাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।