• মেডিক্যাল শিক্ষায় নতুন দিগন্ত...
    আজকাল | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:  গ্রিসের তৃতীয় বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেসালি বিশ্ববিদ্যালয় (UTH) এবং ভারতের সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় (SNU) যৌথভাবে এক যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতার ঘোষণা করেছে। এই অংশীদারিত্ব শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে, যা উভয় দেশের শিক্ষার্থী ও অ্যাকাডেমিকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

    UTH-এর মেডিক্যাল স্কুল ইতিমধ্যেই থেসালি অঞ্চলের ১২ লক্ষ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে, এবং SNU, যা উদ্ভাবনী ও সমন্বয়কারী শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য পরিচিত—এবার একসঙ্গে গবেষণা ও শিক্ষাপদ্ধতির অনুশীলন আদানপ্রদানের উদ্যোগ নিচ্ছে।

    এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষক একে অপরের ক্যাম্পাসে যাওয়া, যৌথ গবেষণায় অংশগ্রহণ, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ এবং নতুন শিক্ষণ পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই একটি মৌ স্বাক্ষরের পথে, যার মাধ্যমে এই উদ্যোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়িত করা হবে।

    সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো UTH-এর ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত মেডিক্যাল ডিগ্রি প্রোগ্রামটি SNU-র পাঠ্যক্রমের সঙ্গে একত্রিত করার পরিকল্পনা। এই উদ্যোগের ফলে ভারতীয় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা গ্রিসের লারিসা শহরে গিয়ে বিশ্বমানের মেডিক্যাল শিক্ষার সরাসরি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে।

    UTH-এর ইংরেজি মেডিক্যাল প্রোগ্রামের ডিরেক্টর অধ্যাপক দিমিত্রিওস বগদানোস বলেন, “এই সহযোগিতা আমাদের ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য অসাধারণ সুযোগ এনে দেবে এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের মেডিক্যাল শিক্ষা গড়ে তুলবে।” মেডিসিন বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক অ্যারিস্টিডিস জিমপিস বলেন, “এই উদ্যোগ দুই দেশের স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ পেশাজীবীদের তৈরিতে সহায়ক হবে।”

    UTH-এর রেক্টর অধ্যাপক চারালাম্বোস বিলিনিস এবং মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থিওফিলোস করাখালিওস উভয়েই জানান, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা, বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।” SNU-র গ্রুপ সিইও অধ্যাপক শঙ্কু বসু বলেন, “আমরা গর্বিত যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগে অংশ নিতে পারছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”

    UTH-এর ভাইস-রেক্টর অধ্যাপক ক্রিসি লাসপিদু বলেন, “আমাদের প্রোগ্রাম দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত পৌঁছেছে, এটি আমাদের আন্তর্জাতিকীকরণের যে প্রতিশ্রুতি, তার প্রমাণ।”

    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম শিক্ষার্থী ও অ্যাকাডেমিক প্রতিনিধিদের সফরের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্বের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। এ সময় তাঁরা যৌথ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ, গবেষণা, ওয়ার্কশপ ও মতবিনিময়ে অংশ নেবেন, যা ভবিষ্যতে দীর্ঘস্থায়ী ও ফলপ্রসূ সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
  • Link to this news (আজকাল)