চিকিৎসা ব্যবস্থায় অটিজম শিশুদের নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ...
আজকাল | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যখন সমাজের প্রতিটি স্তরে চিকিৎসকরা নানা রকম সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন ঠিক সেই সময় অটিজম চাইল্ড নিয়ে এক সচেতনতার বার্তা ও আরো উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য একাধিক কর্মসূচি নিল কলকাতা পিয়ারলেস হসপিটাল।
২ এপ্রিল পালিত হয় অটিজম ডে হিসাবে, আর সেই দিনকে মাথায় রেখে আজ সমাজে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য একাধিক কর্মসূচি নিল কলকাতা পিয়ারলেস হসপিটাল। আজ দিনভর এই শিশুদের নিয়ে গান আবৃত্তি সহ একাধিক অনুষ্ঠান কর্মসূচি পালিত হয় তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য। পিয়ারলেস হাসপাতালের আজকের এই অনুষ্ঠানে শিশুরা যোগদান করতে পেরে তারা খুবই উৎসাহিত এবং উৎফুল্ল অনুভব নজরে পড়ে। এই শিশুদের একাধিক গান আবৃত্তি সহ একাধিক অ্যাক্টিভিটি চিকিৎসক সহ তাদের পরিবারের নজর কাড়ে, বলাবাহুল্য তাঁরা যেন একটা আলাদা আনন্দময় জগত ফিরে পায়।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক পাপিয়া খাওয়াস বলেন, "মানুষ এটা নিয়ে আস্তে আস্তে জানতে শুরু করেছে বুঝতে শুরু করেছে। আসলে মানুষ না জেনে না বুঝে ভয় পেয়ে যাচ্ছে সেই ভয়টাকে আমাদের কাটাতে হবে। এর পুরো নাম অটিজম স্পেকটাম ডিসঅর্ডার। এই শিশুদের একেকজনের একেক রকম সমস্যা হয় এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ভাবে আমাদের নজর রাখতে হবে। প্রত্যেকটি শিশু মাটির তালের মত, এই অবস্থায় তাঁদের ঠিকমতো চিকিৎসা করলে অনায়াসে তাঁরা সুস্থ হতে পারে।"
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত পিয়ারলেস হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (চিকিৎসা মনোবিদ) ডঃ অনিন্দিতা চ্যাটার্জী বলেন, "এটা কোন সেই অর্থে বিশেষ কোন অসুখ নয়, এটা একটা অবস্থান মাত্র। এখানে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটা বড় সমস্যা, তাঁরা ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। এখানে বাবা মাকে প্রচণ্ডভাবে সচেতন হতে হবে। আর তাই আমরা এই মাসটা জুড়েই বিশ্ব অটিজম পালন করব।"
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবক দেবিকা চক্রবর্তী বলেন, "আমার ছেলে আড়াই বছর বয়স থেকে এখানে চিকিৎসারত। এখানে চিকিৎসকরা ওর জীবনে দ্বিতীয় অভিভাবকের স্থান নিয়েছে। বর্তমানে বয়স তাঁর ১৩ বছর। আমি ভাবতেই পারিনি ও যে এতটা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং কথা বলতে পারবে। তবে এটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এই শিশুদের পাশে আমাদের সবাইকে থাকতে হবে। শুধু বাবা মার ভূমিকা নয় সমাজের সকল মানুষের তাঁদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা ভুলে গেলে চলবে না।"