বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই স্বমূর্তি ধারন করছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আগের মতোই বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে থাকার চেষ্টা করছেন। রবিবারের রামনবমী নিয়েও তার ব্যতিক্রম হল না। তিনি নাম না করে রামনবমী নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। বিজেপির ডানপিটে নেতা দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, ‘রামনবমীতে প্রচুর মানুষ রাস্তায় নামবেন। কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মাড়িয়ে চলে যাবে!’
তবে দিলীপের এই হুঁশিয়ারি হজম করতে রাজি নন তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা। তিনি পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। বিধায়ক শওকত মোল্লার পাল্টা জবাব, ‘বাংলার পুলিশ আছে বলে ঘর থেকে বেরচ্ছেন দিলীপ, না হলে ঘরেই থাকতে হত!’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার ক্ষমতা দখল করতে না পেরে বিজেপি হিংস্র হয়ে উঠেছে। ওরা যেন তেন প্রকারেণ বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তাই মানুষকে বলব সতর্ক থাকুন।’
প্রসঙ্গত ৬ এপ্রিল রামনবমী নিয়ে কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবিরে উন্মাদনা বাড়ছে। যার জেরে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমশ চরম আকার ধারন করেছে। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ও শাসকদল তৃণমূলের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজ্য জুড়ে চাপা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। বিজেপির ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখে হিন্দু ভোটারদের এককাট্টা করতে ঘটা করে রাজ্য জুড়ে রামনবমী পালনের কর্মসূচি নিয়েছে পদ্ম শিবির। সেজন্য রাম নবমীকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলার রাস্তাঘাট গেরুয়া পতাকায় ঢেকে রয়েছে। কলকাতার রেড রোড, মেয়ো রোড থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে চারিদিকে অজস্র গেরুয়া পতাকা টাঙানো হয়েছে।
অতীতে রামনবমীতে রাজ্যে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সে কারণে এবারের রামনবমী নিয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। তাঁদের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ২ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকী কলকাতা-সহ ১০টি পুলিশ কমিশনারেটের ক্ষেত্রে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অতএব গেরুয়া শিবিরের এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্য প্রশাসন যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যে প্রস্তুত সেবিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।