মনোজ মণ্ডল: ২০১৬-র এসএসসি গ্রুপ সি এর নিয়োগে চাকরি পেয়েছিলেন বারাসাত পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর দোলন বিশ্বাস। গতকাল ২০১৬ এর সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হতেই চাকরি খোয়া গেল দোলনের। বারাসাত বিবেকানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠের কর্মরত ছিলেন দোলন বিশ্বাস। এই বিদ্যালয়ে দোলন বিশ্বাস ছাড়াও ফিজিক্সের শিক্ষক রাকিব ইসলামেরও চাকরি গেল ।
বারাসাত বিবেকানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক তাপস বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক রাকিব ইসলাম ও গ্রুপ সি দোলন বিশ্বাসের চাকরি যাওয়ায় সমস্যায় পড়বেন তারা। একদিকে যেমন ফিজিক্সের একমাত্র শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় পঠন-পাঠনে সমস্যার সম্মুখীন হবেন ছাত্র ছাত্রীরা । অন্যদিকে গ্রুপ সি দোলন বিশ্বাসের চাকরি চলে যাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন সহ অন্যান্য কাজেও সমস্যায় পড়তে হবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। শুধু তাই নয় এই বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি কর্মী না থাকায় আরো বেশ কিছুটা সমস্যায় স্কুল। সবেমিলিয়ে এই মুহূর্তে বারাসাত বিবেকানন্দ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা সমস্যার সম্মুখীন।
এদিকে, বারাসাত পৌরসভার প্রাক্তন পৌর মাতা দোলন বিশ্বাসের চাকরি যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সদর বারাসাতে। প্রসঙ্গত, এর আগেও তদন্ত চলাকালীন যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতেও নাম ছিল এই দোলন বিশ্বাসের এবং সাদা ওএমআর শিট সে ছবিও প্রকাশ হয়েছিল।
সিপিএমের অভিযোগ, শুধুমাত্র দোলন বিশ্বাস নয় গোটা পশ্চিমবঙ্গে এরকম আরো অনেক তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা রয়েছে । তৃণমূল করায় দোলন বিশ্বাসকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র সুনীল মুখার্জির দাবি মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা দেখছেন। তবে দোলন বিশ্বাসের চাকরি যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে জেলা সদরে। এদিকে, যে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পঠন-পাঠনে তাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
দোলন বিশ্বাস বলেন, আদালতের রায় এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টা বুঝে নিই আগে তারপর দেখছি। এমনিতেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, এনিয়ে কিছু বলতে চাই না।