ধস নামার পর থেকেই বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ঘর বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছে প্রশাসন। এখনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি প্রশাসনের তরফে, এমন অভিযোগ তুলে বাসিন্দাদের হুঁশিয়ারি, ‘‘বুলডোজ়ার চালালেও নড়ব না এখান থেকে।’’
গত মাসে ধস নামে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। ধসের জেরে আশপাশের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে প্রশাসন। সে কথা বাসিন্দাদের জানানোও হয়। এখন তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার ১৮ দিন পরেও প্রশাসনের থেকে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি। প্রশাসনের লোকেরা শুধু এসে জানাচ্ছেন, ঘর খালি করে দিতে হবে। এলাকার মাটি পরীক্ষার পরেই সেখানে নতুন বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। কিন্তু প্রশাসনের এই কথায় তাঁদের আস্থা নেই। সেই কারণে তাঁরা ঘরবাড়ি ছাড়বেন না। বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
যদিও জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়ার বক্তব্য, ‘‘উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের থাকার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ও বলেন, ‘‘এলাকার সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হবে।’’
বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ আদালতে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশমতো রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের। রিপোর্ট জমা পড়ার কথা আগামী সাত দিনের মধ্যে। শনিবার সুভাষ ভাগাড় এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাগাড়ের যা পরিস্থিতি, তাতে এখানে আর আবর্জনা ফেলা যাবে না। যে কোনও মুহূর্তে নতুন করে বিপদ ঘটতে পারে। ভাল বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এখানে পরীক্ষা করাতে হবে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে পরিবেশ আদালতে।’’