কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৬,০০০জনের চাকরি বাতিল। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। ইতিমধ্য়েই তৃণমূলের নেতারা এনিয়ে নানা কথা বলতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনার পেছনে বিরোধীদের হাত ছিল বলে দাবি করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। তবে এসবের মধ্য়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি নেত্রী।
বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। একেবারে বড় ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
তিনি প্রথমত দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানতেন। দ্বিতীয়ত তিনি জানিয়েছেন কেন তিনি চুপ করেছিলেন?
সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে তিনি বলছেন, 'যদি টাকা খেয়েছে চোরকে ধরলে শুধু হবে না….ধরতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁকে স্বীকার করতে হবে যে নিজে এখন বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু লোক লজ্জা, শরম কিচ্ছু নেই। মুখ আছে কথা বলার মতো! আপনি দায়ী। বলছে পার্থকে তোমরা জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছ তখন তো আমরা কিছু বলিনি। আরে শুধু কান ধরলে হবে। মাথাকে আনতে হবে। কোনওদিন হতে পারে না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানতেন না। যখন পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি দেওয়া হল তারপর যে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত হল সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়া হয়নি। তিনি জানতে ৬ হাজার লোক যারা আছে তাদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আত্মীয় স্বজন তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি মুখ বন্ধ করে বসেছিলেন কেন?ভাইপো কাটমানি খেয়েছিলেন পার্থর সঙ্গে। সেজন্য় চুপ করে বসেছিলেন। এখন বলছেন পার্থ জেল খাটবে। …২৫ হাজার লোক রাস্তায় চলে এসেছে তার পরিবার ভাবুন…'দাবি বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের।
কার্যত সরাসরি তিনি নিশানা করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর দিকে। কেন তিনি চুপ করে বসেছিলেন সেকথাও বলেছেন তিনি। কার্যত বড় ইঙ্গিত।
এর আগে নবান্ন থেকে কী জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়?
মমতা জানিয়েছিলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। তবে এই রায় মেনে নিতে পারছি না। আমরাও রেকর্ড খুঁজে বের করব, ২০১৬ তে কারা কারা মন্ত্রী ছিলেন। কোনও একটা জেলা তো আমি জানি, কীভাবে চাকরি হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোনও রেকর্ড নেই। কারও কাছে থাকলে দেবেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম এই ভার্ডিক্ট যিনি দিয়েছিলেন, তিনি এখন বিজেপির এমপি হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এটা বিজেপি–সিপিএম করিয়েছে।’