• মুখা নাচের জন্য মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা
    বর্তমান | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গ্রামবাংলায় এখন বিভিন্ন জায়গায় গাজন চলছে। তার আগে মুখা নাচের জন্য মুখোশ তৈরি করতে ব্যস্ত কুশমণ্ডির মুখা শিল্পীরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগে গ্রাম-গঞ্জে মুখা নাচের পরব হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে।

     চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ মাসে বাংলাজুড়ে চলে শিবের পাশাপাশি কালী ও চণ্ডীর আরাধনা। যে আরাধনায় অন্যতম উপাচার মুখানৃত্য। চড়ক পুজোর আগে গাজনে নাচের জন্য ব্যবহৃত হয় কাঠ খোদাই করে নির্মিত মুখা। যেগুলি নির্মাণ করেই সংসার চালান মুখা শিল্পীরা। চৈত্র থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত শিব ও কালীর মুখা তৈরির বরাত পেয়েছেন কুশমণ্ডির মহিষবাথানের শিল্পীরা। শিল্পীদের হাতে তৈরি মুখা শুধু জেলাতেই নয়, জেলার বাইরেও চাহিদা রয়েছে। মূলত কালী, চামুন্ডা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর মুখা তৈরি করছেন শিল্পীরা। 

    মুখাগুলি বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে। কুশমণ্ডির মুখোশের কদর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে। কুশমণ্ডির মহিষবাথান সমবায় সমিতিতে বিশেষ করে দেবদেবী ও পশুপাখির শোপিস মুখোশ তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু চৈত্র ও বৈশাখ মাসে মুখা নাচের জন্য মুখোশ তৈরি করতে হয় শিল্পীদের। যা অনেকটাই পরিশ্রমের কাজ। এই সময়ে সমবায়ে কাজ কম থাকায় শিল্পীরা দু’মাস নাচের মুখোশ বানিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। 

    কুশমণ্ডি মহিষবাথানের শিল্পী বরুণ নুনিয়া বলেন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে আমাদের সমবায়ে মুখোশের অর্ডার তেমন থাকে না, যেগুলি আমরা সারাবছর বানিয়ে থাকি। এই সময়ে গাজনের মুখা নাচের জন্য মুখোশের অর্ডার আসে। এবারও এই জেলা,  উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে প্রচুর অর্ডার এসেছে। সেগুলির কাজ চলছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)