• মাথাভাঙায় সাড়ম্বরে শুরু অন্নপূর্ণা দেবীর পুজো ও কনক নাথের মেলা
    বর্তমান | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে মাথাভাঙায় কনক নাথের মেলা। অন্নপূর্ণা দেবীর পুজো দিতে শনিবার সকাল থেকেই ভিড় করেন বাসিন্দারা। ভিড় সামাল দিচ্ছে মাথাভাঙা থানার পুলিস। রাজবংশী সম্প্রদায়ের রীতি মেনে পুজো দেওয়ার পর মেলায় আসা লোকজন এখানে কাঁচা দই চিড়ে খান। কনক নাথের বংশধর পরীক্ষিত সরকার বলেন, রাজ আমলে ১৯১৩ সালে সর্বজনীনভাবে শুরু হয় এই মেলা। কনক নাথ এলাকার সভ্রান্ত লোক ছিলেন। আচমকা দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কনক নাথ নিজের বাড়িতে অন্নপূর্ণা দেবীর পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে বর্তমান জায়গায় সর্বজনীনভাবে পুজো শুরু হয়। পাশে থাকা মানসাই নদীতে স্নান করার পর পুজো দেন ভক্তরা। এদিন সকাল থেকে কয়েক হাজার ভক্ত লাইন দিয়ে পুজো দিয়েছেন।

    বাসন্তী পুজোর সপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা পঞ্চানন অনুরাগী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন সকাল থেকে অষ্টমীর পুজো দিতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে। পুজোটি এখনও পরিচালনা করেন কনক নাথের পরিবারের লোকজন। মেলার আয়োজক পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত। একদিনের এই মেলা এবারে নিলামে দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত। 

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলাটি সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিস প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের মেলা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা দেখছে। এব্যাপারে কনক নাথের বংশধর পরীক্ষিত সরকার বলেন, আমরা পরিবারের লোকজন মিলে পুজোর আয়োজন করি। মেলাটি গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজন করে। তিন দিন ব্যাপী নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়। প্রচুর ভক্ত মানত করে পাঁঠা, পায়রা দেন। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায় বলেন, মেলাটি একদিনের। তবে আগামী দিনে মেলার সময়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। 

     মানসাই নদীতে অষ্টমীর স্নান। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)