স্টেশনে কোচ নম্বরের ডিসপ্লে বোর্ড চালু না হওয়ায় হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা
বর্তমান | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামে নিত্যদিন ট্রেন লেট। যাত্রীদের দিনের পর দিন হয়রানি হতে হচ্ছে। স্টেশনে এখনও চালু হয়নি ট্রেনের কোচ নম্বরের ডিসপ্লে বোর্ড। রিজার্ভ কামরা কোন কোচ নম্বরে দাঁড়াবে, তা মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। ট্রেন এলে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন প্রবীণ যাত্রীরা। জেলার বাসিন্দাদের দাবি, ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে যাতায়াত করুক। ঝাড়গ্রাম নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সময়সূচি মেনে আগামী ১০ এপ্রিল স্টেশন চত্বরে সারাদিনব্যাপী গণ অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ কালীপদ সরেন কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন। স্টেশন চত্বর লাগোয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীদের রেলের তরফে উচ্ছেদ নোটিস পাঠানো নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল ঝাড়গ্রাম। এখানে আসতে পর্যটকের একটি বড় অংশের ভরসা ট্রেন। ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না। তাই স্টেশনে কোচ নম্বরের ডিসপ্লে বোর্ড চালু না হওয়ায় যাত্রীদের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ট্রেন স্টেশনে আসার পর মাইকে করে কোচ নম্বর ঘোষণা করা হচ্ছে। যাত্রীরা বড় ব্যাগ নিয়ে প্ল্যাটফর্মের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটছেন। ছুটোছুটিতে ব্যাগ নিয়ে প্রবীণ যাত্রীদের পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। রেলদপ্তরের ভূমিকায় জেলাবাসীর ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা সৌরভ মুদলি বলেন, করোনা মহামারির পর একাধিক ট্রেন তুলে নেওয়া হয়েছে। যে ট্রেনগুলি চলাচল করে সেগুলিও সময়মতো আসছে না। নিত্যযাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাইরে থেকে বহু মানুষ জেলায় আসেন। তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন। ঝাড়গ্রাম নাগরিক সমাজের উদ্যোগে স্টেশন চত্বরে ১০ এপ্রিল অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। স্টেশন ম্যানেজারকে একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। আমরা চাইছি রেলদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুক। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পর্যটকদের একটি বড় অংশ ট্রেনে করে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসেন। ট্রেন লেটের কারণে পর্যটকরা ঝাড়গ্রাম আসতে বিমুখ হচ্ছেন। স্টেশনে কোচ নম্বরের ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হলেও তা এখনও চালু হয়নি। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা প্রবীণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। রেলদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলেই আমরা আশাবাদী।
রেলদপ্তরের ডিসিএম অলোক কৃষ্ণা বলেন, স্টেশনে কোচ নম্বরের ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হয়েছে। খুব দ্রুত সেগুলি চালু করা হবে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। একে আধুনিকমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।