• রাজ রাজেশ্বরী মন্দিরে বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতেছে বড়নগর
    বর্তমান | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: রানি ভবানীর রাজ রাজেশ্বরী মন্দিরে প্রায় ২৫০বছরের প্রাচীন বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতে উঠেছে ভাগীরথী পাড়ের বড়নগর। মন্দির ও সংলগ্ন এলাকাকে আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রাচীন নিয়ম ও রীতিনীতি মেনে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু হয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে মন্দির সংলগ্ন মাঠে বসেছে গ্রামীণ মেলা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনও মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন। পুজোর দিনগুলিতে ভাজা, শাক, পাঁচ তরকারি, মটর ডালের বড়া, ডাল, চাটনি, মিষ্টি এবং পায়েস সহকারে মাকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ বড়নগরের রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে বাসন্তীপুজো দেখতে আসেন।

    মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাচীন রীতি মেনে ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়ে আসছে। পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। সপ্তমীতে সাত ভাজা, অষ্টমীতে আট ভাজা এবং নবমীতে ন’ভাজা ভোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানে ক্লাবে দুর্গাপুজো হলেও বড়নগরের মানুষ বাসন্তীপুজোর জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন। মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ লালা বলেন, পুজোর চারদিন মাকে নিরামিষ অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। মা মটর ডালের বড়া ভালোবাসেন। তাই প্রতিদিনের ভোগে ডালের বড়া থাকেই। নবমীতে কয়েকশো মানুষকে পাত পেড়ে মায়ের ভোগ খাওয়ানো হয়। অন্যান্য দিনে একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে প্রসাদ বিলি করা হয়। মন্দিরে উপস্থিত কেউ মায়ের প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হন না। পুজো উপলক্ষ্যে চলতি বছরে কীর্তন ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)