এই সময়: জাল ওষুধ মামলার তদন্তে এ বার সরাসরি রাজ্য পুলিশকে যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করল নবান্ন। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ(ইবি) কিংবা সিআইডিকে যুক্ত না করে বিশেষ টিম তৈরি করে এই তদন্ত করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব নিয়েও আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা বেশ কিছুদিন ধরে জাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছেন। তবে, যতক্ষণ না পরীক্ষাগারে সেগুলি জাল বলে প্রমাণ হচ্ছে, ততক্ষণ অভিযুক্তকে বেআইনি ওষুধ ব্যবসায়ী বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ফলে দোকানের ওষুধ কেনার নথি থেকে প্রাথমিকভাবে জাল কারবারের হদিশ পাওয়া সম্ভব। যে কাজটা পুলিশই করতে পারে।
নবান্নর কর্তাদের কথায়, ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের পাশাপাশি জাল ওষুধ নিয়ে গোয়েন্দাদের সক্রিয় করতে হবে। ইতিমধ্যেই জীবনদায়ী একটি ওষুধের ব্যাচ নম্বর নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় এই ওষুধ জাল করে বিক্রি হচ্ছে। তবে তদন্তে এটাও উঠে এসেছে, যে ব্যাচ নম্বরের ওষুধ নিয়ে অভিযোগ তা নাকি কোম্পানি বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। যেহেতু পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ আধিকারিকরা।
সম্প্রতি রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা জাল ওষুধের তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাধার মুখে পড়ছেন। বিশেষ করে ভিন রাজ্যে। ফলে নবান্ন একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, জাল ওষুধ কাণ্ডের শেকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে রয়েছে। এজন্য উত্তরপ্রদেশ,বিহার, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা এবং দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলারদের চিঠি দিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
শুধু জাল ওষুধ তৈরি নয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও সংস্থার ঘরে ফেরত না পাঠিয়ে সাল–তারিখ নতুন করে বসিয়ে খোলা বাজারে চালানো হচ্ছে। সে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ দল তৈরি করতে চাইছে রাজ্য। কারণ, পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের তদন্তে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।