লোহার পাত দিয়ে তৈরি ড্রোনের কাঠামো। কাঠামোর চারদিকে চারটি হাইস্পিড পাখার ব্লেড। সাইকেলের হ্যান্ডল দিয়ে তৈরি স্টিয়ারিং। ব্যাটারি চালিত সেই ড্রোনে চেপে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়ে যেতে পারে মানুষও। অভিনব এই ড্রোন বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দুর্গাপুরের ধুবচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ।
মানববহনকারী সেই ড্রোন উড়িয়ে দামোদরের চরের উপর উড়িয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা করেছেন ছোটন। জানা গিয়েছে, লোহার পাত দিয়ে তৈরী ড্রোনে সাড়ে তিন হাজার আরএমপির মোটর বসানো রয়েছে। সেটার সাহায্যেই ঘুরবে ওই পাখা। ২৪ ভোল্টের ব্যাটরি বসানো রয়েছে মোটর চালুর জন্য। ড্রোনের মাঝে একজনের বসার জায়গা রয়েছে। সাইকেলের হ্যান্ডল বসিয়ে স্টিয়ারিং তৈরি করা হয়েছে। তার মাঝে পিকআপ বাড়ানোর জন্য অ্যাক্সিলারেটর রয়েছে যা ডানদিক-বাঁদিকে ঘোরানো যাবে। কিন্তু হঠাৎ কেন মানববহনকারী ড্রোন বানালেন তিনি?
দুর্গাপুরের ছোটন ঘোষ বলেন, ‘রাস্তায় যানজট থাকলে নাজেহাল হতে হয়। আকাশপথে উড়লে যানজট ঠেকানো যায়। আমার আকাশে ওড়ার তীব্র আকাঙ্খা। তাই এই ড্রোন তৈরি করেছি। দামোদর চরে প্রথম ওড়ানো হল। এই ড্রোন একজন চালককে বসিয়ে প্রায় ৮ ফুট উপরে উড়তে পারবে। একবার চার্জ দিলেই সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ড্রোনটি উড়িয়ে আরও পরীক্ষা করে আপগ্রেড করা হবে।’ পেশায় ফুলের কাজ করা ছোটন মাধ্যমিকের পরই বাবার সঙ্গে গ্যারেজে কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর আগে ১০ সিটের সৌরবিদ্যুত চালিত বাইক তৈরি করে নজির গড়েছিলেন তিনি।
এমনকী বিজ্ঞানীদের সম্মান জানাতে ছোটোন প্ল্যাস্টিকের বোতল দিয়ে চন্দ্রযানও তৈরি করেছিলেন। মোবাইল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সেই কৃত্রিম চন্দ্রযান প্রায় ৪০ ফুট উপরে উড়েছিল। এ বার মানববহনকারী ড্রোন তৈরী করে নজির সৃষ্টি করলেন দুর্গাপুরের ধুবচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ।