এই সময়: আয়নার সামনে দাঁড়াতে চাইছেন ওঁরাও। ওঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-অপবাদের শেষ নেই। সেই অপবাদ ঘোচাতে এক ছাদের তলায় একত্রিত হয়েছেন রাজ্যের নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালের মালিকেরা। তৈরি করেছেন নতুন সংগঠন— ‘প্রাইভেট নার্সিংহোমস অ্যান্ড হসপিটালস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংগঠনের কার্যকরী সমিতির বৈঠকের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হলো জেলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতির পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে রেফারাল সিস্টেমও চালু করতে চান তাঁরা। আগামী বছরের মধ্যে কলকাতায় একটি কর্পোরেট হাসপাতালও চালু করতে চান তাঁরা। তবে প্রাথমিক উদ্দেশ্য বিভিন্ন জেলায় ছোট হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন। এর জন্য সংগঠনের সদস্য অন্য হাসপাতালেরও সাহায্য নেওয়া হবে।
সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মলয় পিঠ এ দিন বলেন, ‘আমরা নিজেদের অপবাদ ঘোচানোর জন্যই একত্রিত হয়েছি। প্রাইভেট নার্সিংহোম-হাসপাতাল মানেই লোকে জানে চোর! এখন সেই অপবাদকে ভুল প্রমাণের দায় আমাদেরই। সেই কাজ করার জন্যই আমরা একত্রিত হয়েছি। সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’র মতো প্রকল্পগুলি আমাদের কাছে আর্থিক আশীর্বাদ। আমরা তাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারি। সেই কাজ আমাদের করতেই হবে।’
কিছু নতুন ব্যবস্থা চালুর কথাও জানান মলয় এবং সংগঠনের আর উপদেষ্টা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তাঁরা জানান, জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি করতেই হবে। যাতে জেলার রোগীদের ছোটখাটো চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে ছুটতে না হয়, সেই জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরিতে পাশে থাকবে সংগঠন। এর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে রেফারাল সিস্টেমও দ্রুত চালু করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মলয় জানান, কোনও হাসপাতালে হয়তো ক্যাথল্যাব নেই। তবে কাছাকাছি অন্য হাসপাতালে তা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে সেই হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে রেফার করা হবে। সে ক্ষেত্রে দু’টি হাসপাতালের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনেদেন চলতে পারে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই রোগীদের থেকে বাড়তি টাকা আদায় করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে নার্সিংহোমগুলিকে নানান স্থানীয় সমস্যায় পড়তে হয়, সেই সময়ে পাশে দাঁড়াবে এই সংগঠন। মাত্র চার মাস আগে তৈরি হয়েছে এই সংগঠনটি। ইতিমধ্যে ১৭০০টি নার্সিংহোম এখানে নাম লিখিয়েছেন। রাজ্যে এই রকমের হাসপাতাল-নার্সিংহোমের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার।