• দিদির উপরে রাগে বোনের উপরে যৌন নিগ্রহ, হুমকিও
    এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়, কোলাঘাট: স্কুলে যাওয়ার পথে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে রোজ উত্ত্যক্ত করত এক যুবক। নাবালিকার সঙ্গে জোর করে প্রেমের সম্পর্কও করতে চেয়েছিল যুবকটি। নাবালিকার বাবা-মা বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে তার মামার বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। সেই রাগে ওই নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার বোনের উপর যৌন নির্যাতন চালাল অভিযুক্ত।

    এমনকী ওই নাবালিকার পায়ুদ্বারে চামচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্যাতিতাকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে চামচটি। তবে ঘটনার পর থেকে প্রবল আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

    কোলাঘাটের বাসিন্দা নির্যাতিতার বাবা-মা পেশায় হোসিয়ারি শ্রমিক। ওই দম্পতির বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বোন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, দিদি স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন পাশের গ্রামের এক বিবাহিত যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল ওই যুবক। মেয়েটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। মেয়েকে বাঁচাতে বাবা-মা মেয়েটিকে তার মামার বাড়িতে রেখে আসেন। এর ফলে আক্রোশ চেপে বসে ওই যুবকের মাথায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করছিলেন ওই দম্পতি। বাড়িতে ছিল ছোট মেয়ে।

    অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত যুবক দলবল নিয়ে মেয়েটির বাড়ি ঘিরে ফেলে। তারপর অভিযুক্ত যুবক বাড়ির দোতলায় পৌঁছয়। সেখানে তখন শুয়েছিল মেয়েটি। অভিযুক্ত মেয়েটিকে ছুরি বের করে ভয় দেখায়। তারপরে তাকে কোনও ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়। ওই অবস্থায় নাবালিকার উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়ে তার পায়ুদ্বারে একটি চামচ ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যায়। খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় তাকে। তাই নির্যাতিতা প্রথমে ঘটনার কথা তার বাবা-মাকে বলেনি। শুক্রবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে চামচটি বের করেন। এখনও নাবালিকা হাসপাতালেই রয়েছে। নির্যাতিতার কাকিমা বলেন, ‘এই ঘটনার পরেও আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে আমরা বাইরে বেরোতে পারছি না। থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।’

    যদিও কোলাঘাট থানার ওসি রাজকুমার কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘নির্যাতিতার পরিবার এখনও কোনও অভিযোগ জানায়নি। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।’ তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন, ‘যে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনাজনিত কারণে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলেই আমরা পুলিশকে জানাই। এক্ষেত্রেও তাই হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)