মনোজ মণ্ডল: রান্না করতে করতে প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিও কলে মত্ত ছিলেন স্ত্রী। আচমকা পিছন থেকে কুড়ুলের কোপ স্বামীর। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রনঘাট পঞ্চায়েত এলাকায়। গ্রামের লোকেরা একা একা এসে রান্না ঘরে ঘটে যাওয়া সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখে পরকীয়া বলে সন্দেহ হয় স্বামীর। সেই সন্দেহেই স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। এমনটাই মনে করছেন প্রতিবেশীরা। এরপর থানায় ফোন করে জানিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে স্বামী | রবিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রনঘাট পঞ্চায়েতের কোলা গ্রামে।
পুলিস জানিয়েছে মৃতার নাম অর্পিতা বিশ্বাস (২৮)। ঘাতক স্বামীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা | পরে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর সাতেক আগে অর্পিতার সঙ্গে বাগদার কোলা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ এর বিয়ে হয়েছিল। তাদের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে |
অর্পিতা সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বানাত । পুলিসের দাবি, সেই সূত্রেই বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা রাতের দিকে প্রায়ই অর্পিতাকে মোবাইলে ফোন করত। স্বামী প্রসেনজিৎ সে সব পছন্দ করতেন না। স্বামী অর্পিতাকে সন্দেহ করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তারই মধ্যে অর্পিতা মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাত করে। প্রসেনজিতের সন্দেহ, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়।
রবিবার অর্পিতা রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। ভিডিও কলে গল্প করছে সন্দেহে প্রসেনজিৎ আচমকা কুড়ুল নিয়ে সেখানে চড়াও হন। স্ত্রীর মাথায় সজোরে কোপ বসিয়ে দেন। অর্পিতার আর্তনাদে পড়শিরা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন, অর্পিতা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছেন। প্রসেনজিতের হাতে রক্ত মাখা কুড়ুল।
প্রসেনজিতের মায়ের দাবি, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বানাতে বানাতে বৌমার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল। তা নিয়ে ছেলে ও বৌমার মধ্যে অশান্তি হত। কিন্তু তার যে এত বড় ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, তা তিনি কল্পনা করতে পারেননি।