• যাদবপুরে রামনবমী পালন, ‘আজাদ কাশ্মীর’ লেখার পাশেই পড়ল রামচন্দ্রের পুজোর ব্যানার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথমবারের মতো রামনবমী পালন করা হল । রামচন্দ্রের পুজোর মধ্য দিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নিচে দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর লেখা’-র পাশেই ব্যানার লাগানো হয়। ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়।


    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালনের জন্য প্রথমে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। তবে তাতে অনুমোদন দেয়নি পরিচালন সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু কোনও উপাচার্য নেই তাই এই অনুমতি দেওয়া যাবে না বলেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।

    এবিভিপির দাবি, যদি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করা যায়, তাহলে কেন রামনবমী করা যাবে না। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছিল। এবিভিপি হুঙ্কারের সুরে কার্যত জানিয়েছিল যে তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলেও ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করবে। অন্যদিকে, পাল্টা এনিয়ে এসএফআই জানিয়েছিল সম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তারা রাস্তায় থাকবে। এসবের মধ্যেই আজ রবিবার রামনবমী পালন হল ক্যাম্পাসে।

    এবিভিপি দাবি করেছে, এদিন রামনবমী পালন সফল ছিল। উৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ভিড় জমিয়েছিলেন এবিভিপির সদস্য থেকে শুরু করে অন্যান্য পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েক জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। পুজোর জন্য সবুজ রঙের একটি রাম মূর্তি আনা হয় ক্যাম্পাস চত্বরে।

    এদিন এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে কেন রামনবমী পালন করা যাবে না? তিনি অভিযোগ করেছেন, ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তা পরীক্ষা না করেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। তবে রামনবমীতে আইকার্ড দেখে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রামনবমী পালন ঘিরে নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে তাঁরা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, রামনবমী পালনের অনুমতি চেয়ে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেটি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নামে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)