• লাইন ছাড়াই বাড়িতে বসে মিলবে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র
    এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সুুমন ঘোষ ■ খড়্গপুুর

    রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তার জন্য আর দুপুরে গরমের মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন বাড়ি বসেই স্মার্ট ফোন থেকে আবেদন করা যাবে পঞ্চায়েতের সাতটি বিভাগের শংসাপত্রের। বাড়িতেই চলে আসবে সেই শংসাপত্র। এর জন্য কোনও খরচও হবে না। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তা চালু হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে। ফলে সাধারণ মানুষের হয়রানি যেম‌ন কমল, তেমন পঞ্চায়েত অফিসের চাপও কমবে বলে অনুমান।

    গ্রাম পঞ্চায়েতের শংসাপত্র ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায় না। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েতের শংসাপত্র পেতে দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। বাড়ি থেকে জলে ভিজে বা রোদে পুড়ে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার পরেও দেখা যায় প্রধানরা মিটিংয়ে ব্যস্ত। অন্যরাও নেই। ফলে কাজ অধরাই থাকত। অনেকে আবার পঞ্চায়েতের শংসাপত্র বার করে দেওয়ার নাম করে টাকাও চাইতেন বলে অভিযোগ। যাঁরা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন, তাঁদেরও পঞ্চায়েতের কোনও শংসাপত্রের প্রয়োজন হলে ট্রেন কিংবা বাসের টিকিট খরচ করে আসতে হতো। এ বার সেই সব থেকে রেহাই মিলল।

    সারা রাজ্য জুড়ে ১ এপ্রিল থেকে এটি চালু হওয়ার কথা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক আলি মহম্মদ ওয়ালিওল্লাহ বলেন, ‘আমাদের জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনলাইনে শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে বসে শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার বাড়িতে বসে তা পেয়েও যাবেন।’ কী ভাবে আবেদন করবেন? প্রথমে https://wbpms.in নামে পোর্টালে ঢুকতে হবে। তারপর সিটিজ়েন এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে মোবাইল নম্বর চাইবে। তাতে ওটিপি আসবে। ওটিপি দিলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। ওখানেই আপলোড করতে পারবেন প্রয়োজনীয় নথি।

    আবেদন করলেই তা প্রথম পৌঁছবে পঞ্চায়েত সচিবের কাছে। পঞ্চায়েত সচিব তাতে ডিজিটাল সিগনেচার করার পরে তা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে পৌঁছবে। পঞ্চায়েত প্রধান ডিজিটাল সিগনেচার করার পরে ডাউনলোড অপশন চলে আসবে আবেদনকারীর কাছে। খড়্গপুর-১ ব্লকের ভেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব সৌমিত্র রায় বলেন, ‘এতে আমাদের কাজের সুবিধে হবে। আমরা একদিনেই অনেক শংসাপত্র দিতে পারব।’ নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর গ্রাম পঞ্চয়েত প্রধান প্রণব বিজলি বলেন, ‘হয়তো এতে অনেকের সুবিধে হবে। আবার এমন অনেকে রয়েছেন তাঁরা মোবাইল ব্যবহারে অত পটু নন। সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন না।’ যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, প্রথমের দিকে কিছু মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সাহায্য নিতে পারবেন। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেও সাহায্য পাবেন।

  • Link to this news (এই সময়)